বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও কোহলির অর্ধশতরানের সুবাদে আরসিবি ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৫ রান। কিন্তু, রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই ১৮.১ ওভারে থেমে গেল ১১১ রানে। একসময় এক উইকেটে ৭৯ ছিল স্কোর। সেখান থেকে ৩২ রানে নয় উইকেট হারাল মুম্বই। রোহিত (৪৩) ও কুইন্টন ডি’কক (২৪) ছাড়া দলের কেউ দশের গণ্ডি পার করেননি। ঈশান কিষান (৯), সূর্যকুমার যাদব (৮), ক্রুণাল পান্ডিয়া (৫), কায়রন পোলার্ড (৭), হার্দিক পান্ডিয়ারা (৩) চরম ব্যর্থ। অন্যদিকে, বল হাতে জ্বলে উঠলেন আরসিবি’র পেসার হর্ষল প্যাটেল। হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। পরপর তিন বলে ফেরালেন হার্দিক, পোলার্ড, রাহুল চাহারকে। হর্ষলের বোলিং গড় অবিশ্বাস্য। ৩.১-০-১৭-৪। এবারের আইপিএলে তাঁর শিকারের সংখ্যা এখন ২৩। সঙ্গতে লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল (৩-১১) ও ‘ম্যাচের সেরা’ ম্যাক্সওয়েল (২-২৩)।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, ১৮০ রানেরও বেশি তাড়া করতে হবে মুম্বইকে। কোহলি ও ম্যাক্সওয়েল খেলছিলেন দাপটে। কিন্তু, ডেথ ওভারে যশপ্রীত বুমরাহ ও ট্রেন্ট বোল্টের দাপটে থমকে যায় রানের গতি। শেষ দুই ওভারে উঠল মাত্র ৯ রান। পড়ল তিন উইকেট। যার মধ্যে বুমরাহই দেন জোড়া ধাক্কা। পরপর দু’বলে তিনি ফেরান ম্যাক্সওয়েল ও ডি’ভিলিয়ার্সকে।
প্রথম ওভাবে ট্রেন্ট বোল্টকে ছয় মেরে শুরু করেছিলেন কোহলি। টানা দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। আইপিএলে তাঁর ৪২তম অর্ধশতরান। তবে এদিনও বড় রানের সুযোগ হারালেন ভিকে। থেমে গেলেন ৫১ রানে। ৪২ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও তিনটি ছয়। তবে ইনিংসের পরের দিকে মূলত স্পিন আক্রমণের সামনে গুটিয়ে গেলেন তিনি। এরপর আরসিবি’র বড় রানের স্বপ্ন জাগিয়ে রেখেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৭ বলে তাঁর ৫৬ রানের ইনিংসে ছিল ছয়টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছয়। কিন্তু, বুমরাহর জোড়া উইকেটের সুবাদে অন্তত পক্ষে ১৫ রান কম ওঠে আরসিবি ইনিংসে। কিন্তু, রীতিমতো দাপটে জয়ে ফিরল তারা।