কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দীর্ঘ দু’দশকের বেশি সময় বার্সেলোনাতে কাটিয়ছেন বাঁ পায়ের জাদুকর। ক্লাবের হয়ে সর্বাধিক গোল করার পাশাপাশি জিতেছেন সব ট্রফি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ছ’টি ব্যালন ডি’ওর। বার্সায় তিনিই ছিলেন শেষ কথা। কোচ ও সহ-ফুটবলারদের নিয়ন্ত্রণের অদৃশ্য চাবিকাঠি ছিল তাঁরই হাতে। কিন্তু প্যারিসে তো তিনি আর ঘরের ছেলে নন। হতেও পারবেন না। বার্সেলোনার মতো কদর সুগন্ধীর শহরে মেসির আশা না করাই ভালো। আর্জেন্তাইন কোচ মরিসিও পোচেত্তিনোর একটি মন্তব্য তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘দলের ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবাই জানেন, পিএসজি’তে একাধিক গ্রেট ফুটবলার খেলেছেন। আমাদের এরকম সিদ্ধান্ত নিতে হতেই পারে।’
প্যারিসে আসার পর মধুচন্দ্রিমা পর্ব শেষ হয়েছে লিওর। পিএসজি কর্ণধার নাসের আল-খেলাফি বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। ক্লাবের যাবতীয় রাশ নিজের হাতেই রাখতে অভ্যস্ত তিনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোচ পোচেত্তিনোর মাধ্যমে ক্লাব কর্ণধারই মেসিকে ‘হোয়াট ইজ হোয়াট’ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পিএসজি’র জার্সিতে ১৯০ মিনিটে খেলা হয়ে গিয়েছে মেসির। নামের পাশে নেই একটি গোলও। বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সেই হতাশা স্পষ্ট। অনেকে বলছেন, তা থেকেই জন্ম নেওয়া ক্ষোভ ঝরে পড়েছে কোচের উপর। যদিও ম্যাচ শেষে পোচেত্তিনোর বক্তব্য ছিল, ‘ম্যাচ চলাকালীন মেসি পায়ে চোট পেয়েছিল। তাই ওকে আগলে রাখতেই তুলে নিয়েছি।’ তাঁর এই মন্তব্য যে খুব ভুল ছিল না, তা মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে পেশ করা মেডিকেল রিপোর্টে পরিষ্কার। বলা হয়েছে, ‘লিয়ঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন বাঁপায়ের হাঁটুতে চোট পান মেসি। সোমবার এমআরআইয়ের রিপোর্টে তা ধরাও পরে। ফলে বুধবার মেতজের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে না।’
মেসি-পোচেত্তিনো বিতর্কে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি নেইমার, কিলিয়ান এমবাপেরা। তাঁরাও জানেন, এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত নয়। কারণ, দলগত সংহতি বজায় রেখেই এবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাই লক্ষ্য পিএসজি’র। শীর্ষ কর্তা নাসের আল খালেফিও সেটাই চান।