পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্যারিস: ম্যাচের বয়স তখন ৭৬ মিনিট। স্কোরলাইন ১-১। ঠিক এমন সময়েই লিয়ঁর বিরুদ্ধে দলের প্রাণভ্রমরা লিও মেসিকে তুলে নিলেন পিএসজি কোচ মরিসিও পোচেত্তিনো। পরিবর্ত কে? আচরফ হাকিমি। কোচের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি আর্জেন্তাইন মহাতারকা। তাঁর সঙ্গে হাত না মিলিয়েই রিজার্ভ বেঞ্চে বসলেন মেসি। পোচেত্তিনোর এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত অনেকেই। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের পর এটাই আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। উল্লেখ্য, শেষ মুহূর্তে মাউরো ইকার্ডির গোলে লিয়ঁকে ২-১ ব্যবধানে হারায় পিএসজি। না হলে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তেই পারতেন কোচ। এই প্রসঙ্গে নেইমারদের হেডস্যারের সাফাই, ‘ম্যাচ চলাকালীন মেসি পায়ে চোট পেয়েছিল। তাই ওকে আগলে রাখতেই তুলে নিয়েছি।’
রবিবারই পিএসজি’র ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মেসি। মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করতে চেষ্টার কসুর করেননি তিনি। ৩৭ মিনিটে তাঁর ফ্রি-কিক ক্রসবারে প্রতিহত হয়। তার আগে লিওর শট রুখতে দক্ষতার শীর্ষে পৌঁছতে হয় বিপক্ষ গোলরক্ষক আন্তোনিও লোপেজকে। তাই এই ম্যাচে গোল পাননি মেসি। তবে দল পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত তিন পয়েন্ট। পিএসজির ডেরায় ৫৪ মিনিটে এগিয়ে যায় লিয়ঁ। ইকাম্বির বাড়ানো বল পেয়ে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি লুকাস পাকুয়েতার (১-০)। তবে এই ব্যবধান দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৬৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে নেইমারকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান তারকাটি (১-১)। সংযোজিত সময়ে কিলিয়ান এমবাপের ঠিকানা লেখা ক্রস থেকে হেডে জয়সূচক গোল ইকার্ডির (২-১)। এই জয়ের সুবাদে ছ’টি ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে পিএসজি।