কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
(বেনরামা) (রোনাল্ডো, লিংগার্ড)
লন্ডন: নির্ধারিত ৯০ মিনিট পেরিয়ে ম্যাচ তখন সংযোজিত সময়ে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও জেসি লিংগার্ডের গোলের সুবাদে ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারের ধাক্কা সামলে ইপিএলে জয়ের প্রহর গুনছেন সমর্থকরা। এমন সময় মাথায় ভেঙে পড়ে আকাশ। প্রতিপক্ষ ফুটবলারের শট বক্সের মধ্যে লুক শ’র হাতে লাগে। পেনাল্টির আবেদনে রেফারিকে ঘিরে ধরে ওয়েস্ট হ্যাম শিবির। প্রাথমিকভাবে স্পট-কিকের নির্দেশ না দিলেও ভারের সাহায্য নিয়ে মত বদলান রেফারি। পেনাল্টি পায় ওয়েস্ট হ্যাম। লন্ডন স্টেডিয়ামে তখন টানটান উত্তেজনা। শট নিতে এগিয়ে যান মার্ক নোবল। তবে গোলের নীচে যে ছিলেন হিমশীতল মস্তিকের ডেভিড ডি গিয়া! বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নোবলের শট রুখে দেন তিনি। বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ম্যান ইউ কোচ ওলে গানার সোলকজার। অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়েন রোনাল্ডোরা। ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে ম্যান ইউ। সমসংখ্যক ম্যাচে একই পয়েন্ট পেয়েও গোল পার্থক্যে শীর্ষে লিভারপুল।পুরনো দলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলকেই হাতিয়ার করেছিলেন ওয়েস্ট হ্যাম কোচ ডেভিড মোয়েজ। দু’প্রান্ত থেকেই একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে তারা। ৩০ মিনিটে সাঈদ বেনরামার গোলে লিডও পেয়ে যায় ওয়েস্ট হ্যাম। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর শট ভারানের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ায় (১-০)। পিছিয়ে পড়তেই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে ওঠে ম্যান ইউ। ব্রুনো-রোনাল্ডো যুগলবন্দিতে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সমতায় ফেরে সোলকজার-ব্রিগেড। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আসা ক্রসে সিআরসেভেনের হেড প্রথম প্রচেষ্টায় রুখে দেন ওয়েস্ট হ্যাম গোলরক্ষক। তবে সেই বল তাঁর হাত থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসতেই তা জালে ঠেলতে ভুল করেননি পর্তুগিজ মহাতারকা (১-০)। ম্যান ইউ’র জার্সিতে প্রত্যাবর্তনের পর টানা তিন ম্যাচে স্কোরশিটে নাম তুললেন তিনি।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের একবার গোলের সুযোগ আসে রোনাল্ডোর সামনে। ব্রুনোর বাড়ানো পাস থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে নাকচ হয় রোনাল্ডোর পেনাল্টির আবেদন। তবে ম্যাচের শেষ লগ্নে দুরন্ত গোলে ম্যান ইউকে তিন পয়েন্ট এনে দেন জেসি লিংগার্ড। ৮৯ মিনিটে নেমাঞ্জা মাতিচের পাস ধরে প্রতিপক্ষের তিন ফুটবলারকে ডজ করে ডানপায়ের শটে জাল কাঁপান তরুণ উইঙ্গারটি (২-১)।