বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাধীনতা পূর্ব যুগে নর্মান প্রিচার্ড দেশকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন। সেটা ছিল ১৯০০ সালের এথেন্স ওলিম্পিক্স। তারপর অ্যাথলেটিক্সে শুধুই শূন্যতা! মিলখা সিং ও পিটি ঊষা পদকের কাছে এসেও তা স্পর্শ করতে পারেননি। এবার মহিলাদের ডিসকাস থ্রোয়ে আশা জাগিয়েছিলেন কমলপ্রীত কাউর। ব্যর্থ তিনিও। অগত্যা নীরজই শেষ ভরসা। এদিন ২৩ বছর বয়সি এই থ্রোয়ার সরাসরি ফাইনালে ওঠার যোগ্যতামান (৮৩.৫০ মিটার) অনায়াসে টপকে যান। দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার আর ছোড়েননি নীরজ। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পর তিনি বলেন, ‘জীবনের প্রথম ওলিম্পিকসের শুরুতে এমন পারফরম্যান্স করতে পেরে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। গতবছর কোভিডের কারণে সেইভাবে ট্রেনিং করতে পারিনি। তবে ফাইনালে পদক পেতে হলে আরও ভালো থ্রো করতে হবে। টোকিওতে আসার আগে প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে ভালো ফল করতে পারিনি। এদিন খুব ভালো অ্যাঙ্গেলে নিখুঁত ছোঁড়ার ফল পেয়েছি। ফাইনালে অন্য লড়াই। শারীরিকভাবে আমি ফিট। তবে মানসিকভাবে আমাকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।’ এদিন প্রাথমিক রাউন্ডে ২০১৭ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির জোহানেস ভেটেরকে পিছনে ফেলেন নীরজ। ওলিম্পিকসের আগে ভারতীয় থ্রোয়ারকে চ্যালেঞ্জ জানানো ভেটের চূড়ান্ত প্রয়াসে ৮৫.৬৪ মিটার ছুড়ে যোগ্যতামান পেরিয়ে যান। শনিবারের ফাইনালে ভারতীয় থ্রোয়ারের সঙ্গে পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের লড়াইয়ের দিকেও আলাদা নজর থাকবে। পাক থ্রোয়ারটি এদিন ৮৫.১৬ মিটার ছুড়েছেন। এর আগে এশিয়ান গেমসে আরশাদকে হারিয়ে সোনা জিতেছিলেন নীরজ।