বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
১৫ বছরের বর্ণময় খেলোয়াড়ি জীবনে ১৭টি জাতীয় খেতাব ছিল তাঁর। ১৯৫৬ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ব্যাডমিন্টনে আন্তর্জাতিক খেতাবও জেতেন নান্দু। কুয়ালালামপুরে সেলাংগার আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের সিঙ্গলসে হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন। ১৯৬২ সালে ব্যাংকক কিংস কাপ আন্তর্জাতিকের মিক্সড ডাবলসে মীনা শাহের সঙ্গে জুটিতেও চ্যাম্পিয়ন হন। একসময় বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তিনে উঠে এসেছিলেন নান্দু।
ব্যাডমিন্টন তারকাটির জন্ম মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলিতে, ১৯৩৩ সালে। কেরিয়ারের শুরুতে টেনিস ছিল বেশি পছন্দের। সর্বভারতীয় জুনিয়র টেনিস প্রতিযোগিতার ফাইনালেও উঠেছিলেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। ফাইনালে হারেন রমানাথন কৃষ্ণানের কাছে। এরপরই টেনিস ছেড়ে ব্যাডমিন্টনে মন দেন তিনি। ২০ বছর বয়সে ভারতের হয়ে অভিষেক।
একবারই অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনে খেলেছিলেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সেই প্রতিযোগিতায় পুরুষদের সিঙ্গলসে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু স্পনসরের অভাবে তারপর কখনও এই প্রতিযোগতায় খেলতে পারেননি। যদিও প্রবীণদের ইভেন্টে অল ইংল্যান্ডের ডাবলসে দু’বার সেরা হন ১৯৮০ ও ১৯৮১ সালে।
১৯৬১ সালে অর্জুন সম্মানে ভূষিত হন নান্দু। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রয়াণে
ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন নান্দু নাটেকরজির মৃত্যুসংবাদে আমি মর্মাহত। তাঁর কীর্তি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে সমস্ত ক্রীড়াবিদদের কাছে অনুপ্রেরণা জোগাবে চিরকাল। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের জানাই সমবেদনা।’