বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় যথেষ্ট ভালো দীপ্তি। প্রতিভাবান এবং পরিশ্রমীও বটে। বোর্ডের পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফলের পর ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট পাশ করে আকোলায় সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু, বাবার সীমিত আয়ে খরচ চালানো দুষ্কর। আত্মীয়রা অবশ্য কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সব খরচ মিটছে না। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ক্রমশ চুরমার হওয়ার উপক্রম। ঠিক এই সময়েই এগিয়ে এলেন শচীন। এসএসএফের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে দীপ্তি বলেছেন, ‘স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য শচীন তেন্ডুলকর ফাউন্ডেশনের কাছে কৃতজ্ঞ। এই ঋণ জীবনে শোধ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। লিটল মাস্টারের আন্তরিক সহযোগিতায় আর্থিক সমস্যা আর নেই। ফলে পড়াশোনায় মনঃসংযোগ করতে পারছি। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন এবার পূরণ হবে। অসুস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। তার জন্য যে কোনও বাধা টপকাতে আমি তৈরি। ভবিষ্যতে আমার মতো ছাত্রছাত্রীদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলাম।’
দীপ্তির প্রত্যন্ত গ্রামে সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া সহজ ছিল না। তাই সেবা সহায়ক ফাউন্ডেশনের অন্য কর্তাদের সঙ্গে শচীন নিজে দ্রুত অর্থ পাঠানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
ব্যাট হাতে বাইশ গজে শুধু বিপক্ষ বোলারদের সংহার করাই নয়, শচীন তেন্ডুলকরকে মনে রাখতে হবে তাঁর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও। নেটিজেনরা মাস্টার ব্লাস্টার্সের এই ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।