টোকিও: শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হলেন প্রণতি নায়েক। এবারের ওলিম্পিক জিমন্যাসস্টিকসে বাংলার প্রণতিই ছিলেন ভারতের একমাত্র প্রতিযোগী। তবে এদিন তিনি চারটি অ্যাপারেটার্সেই প্রত্যাশিত ফল করতে পারেননি। তাই আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসের প্রাথমিক পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হল তাঁকে। তিনি শেষ করেন ২৯ নম্বরে। ২৪ জনের মধ্যে থাকতে পারলে তিনি এই বিভাগে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারতেন। এদিন ফ্লোর এক্সারসাইজ, ভল্ট, আনইভেন বার ও ব্যালেন্স বিম-কোনও ইভেন্টেই নজর কাড়তে পারেননি। ২০১৯ এশিয়ান জিমন্যাস্টিকসে তাঁর ঝুলিতে আসে ব্রোঞ্জ। কিন্তু এরপরেই করোনার জন্য বিশ্বে অনেক খেলাধূলাই বন্ধ হয়ে যায়। গত দেড় বছরে তিনি কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ পাননি। ২৯ মে থেকে ১ জুন চীনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান জিমন্যাস্টিকসে তাঁর যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু প্রতিযোগিতা বাতিল হয়। ওলিম্পিক জিমন্যাস্টিকসের একমাত্র প্রতিনিধি হওয়ায় প্রণতির দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের মেন্টরদেরও তেমন নজর ছিল না। প্রণতির জন্য কোনও বিশেষ প্রস্তুতির ব্যবস্থাও কেন্দ্রীয় সরকার করেনি। তিনি প্র্যাকটিস করতেন সল্টলেক সাইয়ে। যেখানে আধুনিক সরঞ্জামের বড়ই অভাব। তারউপর সাইয়ে তাঁর দীর্ঘ দিনের কোচ মিনারা বেগম অবসর নেন। তাঁর পরিবর্তে আসা নতুন কোচের ছিল অভিজ্ঞতার অভাব। ছাত্রীর পাশে থাকতে মিনারা বেগম নিজের উদ্যোগে টোকিও যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দেয়নি।
এদিন ইভেন্টের সময়ে গাইড করার যোগ্য লোক না থাকায় প্রণতিকে দিশাহারা মনে হয়েছে। রবিবার মিনারা বলেন, ‘ফ্লোরে প্রণতিকে অভিভাবকহীন দেখে চোখে জল এসে গিয়েছিল। তবে ওর দ্বিতীয়বার ভল্ট নেওয়া উচিত ছিল। সেখানে ভালো স্কোর করলে দু’টি ভল্টের স্কোরের গড় ধরলে প্রণতির সুযোগ আসতেই পারত। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমার প্রশিক্ষণে ও নেমেছে ফ্লোরে। টিভিতে দেখে মনে হল হয়তো সে আমাকেই খুঁজছে।’ উল্লেখ্য, রিও ওলিম্পিকসে দীপা কর্মকারের সঙ্গে তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক।