বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
(রডরিগেজ)
প্রশান্ত ব্যানার্জি: কোপা আমেরিকার প্রথম হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ। আর্জেন্তিনা বনাম উরুগুয়ের লড়াইয়ে সকলের নজর ছিল দুই বন্ধু লিও মেসি ও লুইস সুয়ারেজের দ্বৈরথের দিকে। ভোরে তাই আমিও একরাশ আগ্রহ নিয়ে টিভি সেট চালিয়েছিলাম। কিন্তু ৯০ মিনিটের মহাম্যাচ হতাশই করল। দুই দলেরই ফিনিশিংয়ে গলদ রয়েছে। আর্জেন্তিনা জিতল ঠিকই। তবে খেতাবের জন্য মেসিদের পারফরম্যান্স আরও ভালো হওয়া প্রয়োজন।
চিলি ম্যাচের প্রথম একাদশে চারটি পরিবর্তন করে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন আর্জেন্তিনা কোচ স্কালোনি। বিশেষত ব্যাক ফোরে উন্নতির ক্ষেত্রে জোর দিয়েছিলেন তিনি। দলের খেলাতেও যা ছিল সুস্পষ্ট। ওটামেন্ডিকে বেশ ভালো লাগল। সুয়ারেজ-কাভানি জুটি ওর থেকে সমীহ আদায় করতে পারেনি। পাশাপাশি আর্জেন্তিনার মাঝমাঠও সুবিন্যস্ত মনে হল। তবে সুযোগ নষ্ট করার খেলায় মেতেছে মার্তিনেজ ও গঞ্জালেজ। মেসির সঙ্গে ওদের বোঝাপড়া এখনও কাঙ্ক্ষিত ছন্দে পৌঁছয়নি। ভাগ্য ভালো, ম্যাচের শুরুতেই গোলটা পেয়ে গিয়েছিল মারাদোনার দেশ। না হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত।
বরাবরের মতো মেসি এদিনও একার কাঁধে দলকে টানল। ওর ঠিকানা লেখা ক্রস থেকেই গোল পেয়েছে আর্জেন্তিনা। ম্যাচের ১৩ মিনিটে এলএমটেনের অ্যাসিস্ট থেকেই হেডে লক্ষ্যভেদ রডরিগেজের (১-০)। প্রথমার্ধে আর্জেন্তিনা দাপট দেখালেও, বিরতির পর উরুগুয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায়। ছোট ছোট স্পেলে ওরা আক্রমণে ওঠে। তবে উরুগুয়ের এই দলটিতে তারুণ্যের অভাব রয়েছে। সুয়ারেজ ও কাভানি, দু’জনই বয়সের ভারে ক্লান্ত। গোটা ম্যাচে প্রতিপক্ষের তিনকাঠি লক্ষ্য করে একটি শটও রাখতে পারেনি উরুগুয়ে। প্রথমার্ধে অবশ্য একটি ক্ষেত্রে পেনাল্টি পেতেই পারত অস্কার তাবারেজের দল। বক্সের মধ্যে কাভানি শট নেওয়ার মুহূর্তে রডরিগেজ অবৈধভাবে পা রেখেছিল। তবে রেফারি ফাউল না দিয়ে খেলা চালিয়ে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে পেনাল্টি দিলেও কিছু বলার ছিল না।
গত ম্যাচে চিলির বিরুদ্ধে ফ্রি-কিক থেকে মেসির গোলটা এখনও চোখে ভাসছে। ওর থেকে এরকম লক্ষ্যভেদ দেখে আমরা অভ্যস্ত। এদিনও একই জায়গা থেকে আরও একবার বিপক্ষের জাল কাঁপানোর সুযোগ পেয়েছিল ও। তবে সফল হয়নি। এদিনও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে মেসিকে একাকী মনে হল। ড্রিবল করে প্রতিপক্ষের একাধিক ফুটবলারকে কাটিয়েও ও সুযোগ তৈরি করছিল। তবে তা কাজে লাগানোর দায়িত্ব তো নিতে হবে বাকিদের। বরং ডি মারিয়া মাঠ নামতে আর্জেন্তিনার আক্রমণের ঝাঁঝ অনেকটাই বাড়ে। গোলসংখ্যা বাড়লে ভালোই লাগত। তবে এই জয় স্কালোনি-ব্রিগেডের আত্মবিশ্বাস অবশ্যই বাড়াবে।