কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নম্বইয়ের কোঠায় পৌঁছেও তাঁর প্রচ্ছন্ন গর্ববোধ ছিল যে, তিনি সেনাবাহিনীর শিক্ষায় শিক্ষিত। তাই কোনও দিনই হারের আগে হার মানতে চাননি মিলখা। শোকস্তব্ধ অ্যাথলেটিকস মহলে চর্চা চলছে, মৃত্যুর পরও কি শান্তিতে ঘুমোতে পারবেন তিনি? মুক্তি পাবেন কি, ১৯৬০ রোম ওলিম্পিকসে ৪০০ মিটারে ব্রোঞ্জ হাতছাড়া করার আক্ষেপ থেকে? ওই দৌড় প্রসঙ্গে মিলখা প্রায়শই বলতেন, ‘শেষ দেড়শো মিটারে কী যে হয়ে গেল আমার! জাজমেন্টের ছোট্ট একটা ভুলেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল।’
আন্তর্জাতিক মানচিত্রে ভারতীয় অ্যাথলেটিকসের ‘পোস্টার বয়’ মিলখা। কিংবদন্তি অ্যাথলিটের ঝুলিতে রয়েছে এশিয়াডের চারটি সোনা। ১৯৫৮ কমনওয়েলথ গেমসেও তিনি সেরার শিরোপা পেয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর নামের পাশে লেখা হয়ে যায় স্বাধীন ভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে কমনওয়েলথের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয়ের নজির। সেই ঐতিহাসিক সাফল্যের পর তাঁর অনুরোধে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছিলেন।
ভারতীয় অ্যাথলেটিকস জগতে ‘উড়ন্ত শিখ’ নামে পরিচিত ছিলেন মিলখা। এই প্রসঙ্গে পিটি ঊষার মেন্টর নাম্বিয়ার বলেছিলেন, ‘স্টার্টিং ব্লক থেকে ছিটকে বেরোনোর সময় মিলখাকে মনে হতো তিনি উড়ছেন। এতটাই গতি ছিল তাঁর।’ আর সে জন্যই জীবনের ৮০টি দৌড়ের মধ্যে ৭৭টিতেই চ্যাম্পিয়ন তিনি। অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতা ও আগ্রাসি মানসিকতার রহস্য কী? মিলখা বলতেন দু’টি কারণ। এক, দেশভাগের সময় পাকিস্তানের মাটিতে বাবা-মায়ের হত্যাকাণ্ড। দুই, ওলিম্পিকসে সেকেন্ডের ভগ্নাংশে পিছিয়ে থেকে পদক হাতছাড়া হওয়া। সত্যিই তিনি ভারতীয় ক্রীড়াজগতের ট্র্যাজিক হিরো।