গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
(স্যান্ড্রো, নেইমার, রিবেইরো, রিচার্লিসন)
সাও পাওলো: বিশ্বকাপ জয়ের নিরিখে পেলের চেয়ে আলোকবর্ষ দূরে নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বসেরার স্বাদ পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট। সেখানে নেইমারের ভাণ্ডার এখনও শূন্য। তবে দেশের জার্সিতে সর্বাধিক গোলের হিসেবে পেলের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশ কমিয়ে আনছেন ‘দ্য ওয়ান্ডার বয়’। ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭টি গোল রয়েছে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির। আর ১০৭ ম্যাচে নেইমারের ঝুলিতে আপাতত ৬৮টি গোল। আর মাত্র ১০টি লক্ষ্যভেদ করতে পারলেই ফুটবল সম্রাটকে টপকে দেশের জার্সিতে সর্বকালের সর্বাধিক গোলদাতা হিসেবে নাম লেখাবেন তিনি। সেই দৌড়ে বৃহস্পতিবারও স্কোরশিটে নাম তুললেন নেইমার। কোপা আমেরিকায় গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুর বিরুদ্ধে ৪-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে তিতে-ব্রিগেড। অপর তিন গোলদাতা হলেন যথাক্রমে অ্যালেক্স স্যান্ড্রো, এভার্টন রিবেইরো ও রিচার্লিসন। উল্লেখ্য, সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে টানা ৯ ম্যাচে জয় পেল ব্রাজিল।
ঘরের মাঠে দু’বছর আগে কোপা আমেরিকা খেতাব জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন নেইমাররা। করোনার জেরে এবারও শেষ মুহূর্তে আর্জেন্তিনা থেকে ব্রাজিলে টুর্নামেন্ট স্থানান্তরিক করে কনমেবল। একটা সময় ঘরের মাঠে কোপা থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন নেইমার-কাসেমিরোরা। তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় ফুটবলের স্বার্থে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আর মাঠে নেমেই দেখাতে থাকেন সাম্বার ঝলক। প্রথম দু’টি ম্যাচে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে, সেলেকাওদের খেতাবরক্ষার ভীষণতম তাগিদ। প্রথম ম্যাচে দুর্বল ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল তিতে-ব্রিগেড। তবে বৃহস্পতিবার পেরুর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ৬টি পরিবর্তন এনেছিলেন ব্রাজিল কোচ। তাতেও জয় পেতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি পাঁচবারের বিশ্বসেরা দলটির। দু’বছর আগে এই পেরুকে হারিয়েই কোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ব্রাজিল। বৃহস্পতিবারও একচ্ছত্র দাপট দেখাল তারা। ১১ মিনিটের মধ্যেই দলকে এগিয়ে দেন অ্যালেক্স স্যান্ড্রো। হেসাসের পাস থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি তাঁর (১-০)। এরপর সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে মরিয়া চেষ্টা চালায় পেরু। ওই সময় ব্রাজিল ছিল খানিকটা নিষ্প্রভ। তবে কোনওক্রমে এক গোলের লিড ধরে রেখে বিরতিতে মাঠ ছাড়েন ফ্রেডরা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য তাঁদের সামনে আর থই পায়নি রিকার্ডো গারেকার দল। ৬৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে নেইমারকে ফাউল করলে স্পট-কিকের নির্দেশ দেন রেফারি। যদিও ভারের সাহায্যে সেই সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন তিনি। তবে মিনিট পাঁচেক বাদেই দূরপাল্লার শটে পেরুর জাল কাঁপান নেইমার (২-০)।
দল দু’গোলে এগিয়ে যেতেই বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন তিতে। তাতে অবশ্য ব্রাজিলের খেলায় কোনও পার্থক্য ঘটেনি। ৮৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা রিবেইরা (৩-০)। আর সংযোজিত সময়ে পেরুর কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন রিচার্লিসন (৪-০)। পর পর দু’ম্যাচে জিতে গ্রুপ-এ’তে শীর্ষে রইলেন নেইমাররা।