পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইউরো কাপে সব থেকে কঠিন গ্রুপে রয়েছেন রোনাল্ডোরা। হাঙ্গেরির পাশাপাশি তাঁদের অপর দুই প্রতিপক্ষ হল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও জার্মানি। তাই শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিতে প্রথম ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে চাইছেন অভিজ্ঞ কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। উল্লেখ্য, ইউরোর প্রস্তুতিতে স্পেনের সঙ্গে ড্র করলেও, শেষ ম্যাচে ইজরায়েলকে বড় ব্যবধানে বশ মানিয়েছিলেন রোনাল্ডোরা। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে সেই ছন্দই ধরে রাখতে চান বার্নাডো সিলভারা।
চলতি ইউরো কাপে একাধিক নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে রোনাল্ডো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বকালের সর্বাধিক গোলদাতা হিসেবে শীর্ষে ওঠার হাতছানি তাঁর সামনে। বর্তমানে ১০৪টি গোল করে আলি দায়েরের (১০৯) পরেই রয়েছেন সিআর সেভেন। অর্থাৎ শীর্ষে ওঠার জন্য তাঁর প্রয়োজন হাফ ডজন গোলের। পাশাপাশি ইউরোর আসরে সর্বাধিক গোলদাতা ও সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার নজির গড়ারও সুযোগ থাকছে পর্তুগিজ মহাতারকার সামনে। তবে ব্যক্তিগত কীর্তির হাতছানি মাথায় রাখতে চান না রোনাল্ডো। প্রসঙ্গক্রমে তাঁর মন্তব্য, ‘এর আগেও আমি বহুবার বলেছি, ২০১৬ সালে ইউরো কাপ জয় কেরিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্ত। খেতাব ধরে রাখার জন্য এবারও সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে। জানি লড়াইটা কঠিন। গ্রুপ পর্বে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাবে ফ্রান্সও জার্মানি। তাই অপেক্ষাকৃত দুর্বল হাঙ্গেরিকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে।’
২০১৬ সালের তুলনায় এবারের পর্তুগাল দলে ভারসাম্য কিছুটা হলেও বেশি। রোনাল্ডোর পাশাপাশি ডিয়েগো জোতা, বার্নাডো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্ডেজের মতো ফুটবলারের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে পর্তুগালের আপফ্রন্টের শক্তি বাড়াবে। এছাড়া রক্ষণে পেপের অভিজ্ঞতা অন্যতম বড় সম্পদ। পক্ষান্তরে, ধারে ও ভারে পর্তুগালের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে হাঙ্গেরি। তবে পাঁচ বছরে আগে ইউরোর গ্রুপ পর্বের ফল অবশ্যই আত্মবিশ্বাস জোগাবে কোচ মার্কো রোসিকে। সেবার পর্তুগালের বিরুদ্ধে তিনবার এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র করে হাঙ্গেরি। জোড়া গোলে দলের হার বাঁচিয়েছিলেন সিআর সেভেন। পাঁচ বছর আগের সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর লক্ষ্যে মঙ্গলবার নামছে ফেরেঙ্ক পুসকাসের দেশ।