গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
(মার্কুইনহোস, নেইমার-পেনাল্টি, বারবোসা)
সাও পাওলো: করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় ফুটবলের স্বার্থে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আর যাবতীয় ক্ষোভ মন থেকে ঝেড়ে ফেলে সাম্বা ফুটবলাররা বুঝিয়ে দিলেন, খেতাব ধরে রাখতে তাঁরা কতটা বদ্ধপরিকর। কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ ব্যবধানে হারাল তিতে-ব্রিগেড। এই জয়ের নায়ক নেইমার। পেনাল্টি থেকে স্কোরশিটে নাম তোলার পাশাপাশি দলের তৃতীয় গোলের ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান রয়েছে। নেইমারের বাড়ানো পাস থেকে জাল কাঁপান গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। ব্রাজিলের অপর গোলদাতা মার্কুইনহোস। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে, অন্তত হাফ ডজন গোলের ব্যবধানে জিততেই পারতেন নেইমাররা।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে টানা ৬টি ম্যাচে জিতে রবিবার মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। করোনার প্রকোপে একাধিক নিয়মিত ফুটবলারকে পায়নি ভেনেজুয়েলা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ১০ মিনিটে দু’টি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন হেসাস ও মিলিতাও। এরপর নেইমারের কর্নার থেকে রিচার্লিসনের ফ্লিক কোনওরকমে রোখেন বিপক্ষ ডিফেন্ডাররা। তবে জটলার মধ্যে থেকেও বল জালে জড়ান মার্কুইনহোস (১-০)।
বিরতির পর একইভাবে চাপ বজায় রাখে ব্রাজিল। মাঝমাঝে লুকাস পাকুয়েতার পরিবর্তে এভার্টন রিবেইরো মাঠে নামতেই তিতের দল আরও প্রাণবন্ত হয়। এই পর্বে নেইমারদের একের পর এক আক্রমণে খেই হারায় ভেনেজুয়েলা। ৬৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে ব্রাজিলের ড্যানিলোকে ফাউল করেন লুইস মার্তিনেজ। পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি নেইমারের (২-০)। উল্লেখ্য, দেশের জার্সিতে ৬৭টি গোল করা হয়ে গেল তাঁর। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে ভেনেজুয়েলা কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন বারবোসা (৩-০)।
ইকুয়েডরকে হারাল কলম্বিয়া রবিবার কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় ম্যাচে কলম্বিয়া ১-০ গোলে হারাল ইকুয়েডরকে। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন এডউইন কার্ডোনা। উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলার পর কলম্বিয়া শিবিরেও থাবা বসাল করোনা। তবে সেই উদ্বেগের চিহ্ন ছিল না কলম্বিয়ার পারফরম্যান্সে।