বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র খেলাধুলার ক্ষেত্রেই নয়, সিপিআর প্রয়োজন হতে পারে দৈনন্দিন জীবনে হঠাৎ অজ্ঞান বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া যে কারও প্রাণ বাঁচাতে। কয়েক মিনিটের সিপিআর পদ্ধতি মন্ত্রের মতো কাজ করতে পারে। তাই তাঁদের মতে, ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে ট্রাফিক পুলিস, এমনকী পেশার খাতিরে অধিকাংশ সময় যাঁদের রাস্তায় কাটাতে হয়, সেই সব সাধারণ মানুষদেরও সিপিআর জানা আবশ্যিক হওয়া উচিত। পাশাপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, কিছু মানুষের হার্ট থেকে মস্তিষ্কে রক্তসংবহনকারী ক্যারোটিড ধমনীর পাশেই ক্যারোটিড গ্রন্থি (গলার উঁচু অংশের দু’পাশের) অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। ঘাড় ঘোরানোর সময় হ্যাঁচকা টানেও তাঁরা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। চোট আঘাত বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুব্রত গোস্বামী বলেন, ‘জ্ঞান হারানোর আগে এরিকসেন কোনও রকম আঘাত পায়নি। তবু এমন ঘটনার জন্য ক্যারোটিড গ্রন্থিতে আকস্মিক টান লাগার প্রভাব থাকতে পারে। তবে কারণ যাই হোক, দ্রুততার সঙ্গে সিপিআর ওকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’
সিপিআর-এর পুরো নাম কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটিশন। হার্ট বন্ধ হয়ে মানুষ হঠাৎ সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে, হার্টের গতি বা তার চেয়ে সামান্য দ্রুত গতিতে (মিনিটে ১০০-১২০) বুকের উপর নির্দিষ্ট ছন্দে চাপ (কার্ডিয়াক ম্যাসাজ) দেওয়া হয়। এভাবে হার্ট সচল করার পদ্ধতির নাম বাই স্ট্যান্ডার্ড সিপিআর। একই সঙ্গে মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দেওয়ার মাধ্যমেও জীবনরক্ষা করা সম্ভব। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কার্ডিয়াক ম্যাসাজই সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।
ডিসি ট্র্যাফিক অরিজিৎ সিনহা রবিবার জানালেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কলকাতা পুলিসের করমা অ্যাম্বুলেন্সে সিপিআর প্রশিক্ষিত কর্মীরা সবসময় শহরবাসীর পাশে আছেন। সার্জেন্টদেরও সিপিআর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।