রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চারিদিকে শুধুই স্বজনহারা কান্না। কোনওরকমে হাসপাতালে বেডে পেলেও অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন রোগীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাউ দাউ করে জ্বলছে চিতা। এই দৃশ্য দেখে হৃদয় পাষাণ হয়ে গিয়েছে অনুষ্কা শর্মার। তিনি বলেছেন, ‘এই সময় হাত গুটিয়ে বসে থাকার নয়। করোনার প্রকোপ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, স্বাস্থ্য পরিষেবা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে। মানুষের কষ্ট দেখে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। চোখের জল চেপে রাখতে পারছি না। তাই আমি ও বিরাট এই লড়াইয়ে শামিল হওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছি। কেটো নামে একটি সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের উদ্যোগেই আমরা একটি ত্রাণ তহবিল গঠন করছি। প্রাথমিকভাবে সেই তহবিলে দু’কোটি টাকা দিয়েছি আমরা। আমাদের লক্ষ্য সাত কোটি টাকার তহবিল গড়ে তোলা। এই অর্থ দিয়ে অক্সিজেনের ব্যবস্থা, টেলিমেডিসিন পরিষেবা এবং টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে।’
বিরাট জানিয়েছেন, ‘গোটা দেশ এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি ইতিহাসে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষের দুঃখ, দুর্দশা দেখে শিহরিত হয়ে উঠেছি আমি ও অনুষ্কা। আমাদের মনে হয়েছে, কিছু একটা করা দরকার। দিনরাত এক করে যাঁরা আমাদের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাঁদের প্রশংসার জন্য কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। সীমিত সাধ্যের মধ্যেই আমরা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছি। সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে পারলে এই যুদ্ধে অবশ্যই জয়ী হব।’
সাকারিয়ার বাবা করোনায় আক্রান্ত: বাবা শয্যাশায়ী ছিলেন। এবার করোনাতেও আক্রান্ত হলেন। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত এবারের আইপিএলের অন্যতম সেরা আবিষ্কার চেতন সাকারিয়া। উল্লেখ্য, রাজস্থান রয়্যালস এবারের নিলামে তাঁকে ১.২ কোটি টাকায় দলে নিয়েছিল। আর প্রথম ম্যাচেই তিনি ৩ উইকেট নিয়ে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন। বাকি ম্যাচগুলিতেও ছন্দ হারাননি। বাবার এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে চেতন বলেন, ‘পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তবুও রাজস্থান রয়্যালসের থেকে প্রাপ্য টাকার কিছু অংশ পেয়েছি। ওই অর্থেই বাবার চিকিৎসা চলছে।’