পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লন্ডন: প্রত্যাশা মতোই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার অ্যানফিল্ডে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি পর্বে লিভারপুলের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্যভাবে। চোট-আঘাতের কারণে দলের কোরগ্রুপের একাধিক ফুটবলারের সার্ভিস এদিন পাননি রিয়াল কোচ জিদান। তা সত্ত্বেও পরিকল্পিত স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে তিনি শেষ হাসি হাসলেন। বলাই বাহুল্য, অ্যাওয়ে ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ লিভারপুল। একাধিক সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে পারেননি সালাহ-ফারমিনোরা। ফলে প্রথম লেগে জয়ের সুবাদে ৩-১ ব্যবধান ধরে রেখেই শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করল রিয়াল মাদ্রিদ।
দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার সের্গিও র্যামোস এবং রাফায়েল ভারানে ছাড়াই কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে দুরন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল রিয়াল। বেনজেমা-ভিনিসিয়াসদের আক্রমণের কাছে সেদিন বশ মেনেছিল জুরগেন ক্লপের দল। তবে বুধবার ফিরতি পর্বে দল মাঠে নামানোর আগে কিছুটা হলেও চাপে ছিলেন রিয়াল কোচ। র্যামোস, ভারানে ও কার্ভাহালের পাশাপাশি হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের আগে ছিটকে যান লুকাস ভাসকুয়েজ। যা অবশ্যই বড় ধাক্কা। কিন্তু জিদানের ব্লু-প্রিন্টে ভর করে রক্ষণ অটুট রাখেন নাচো-মেন্ডিরা। প্রতিপক্ষে সালাহ-ফারমিনো-মানের মতো তিন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার রিয়াল রক্ষণে দাঁত ফোটাতে পারেননি। যার জেরে ঘরের মাঠে ড্র করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হল ক্লপ-ব্রিগেডকে।
ম্যাচ শেষে জিদান জানান, ‘দলগত সংহতিতে ভর করেই ছেলেরা সেমি-ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। আগামী দিনেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। প্রথম লেগে জয় অবশ্যই কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ হিসেবে কাজ করেছে। তবে ফিরতি পর্বের ম্যাচে ছেলেরা তা মাথায় রাখেনি। গোল হজম না করে প্রতি-আক্রমণে ঝড় তোলাই ছিল প্রাথমিক লক্ষ্য। আর ৯০ মিনিট লড়াই শেষে ছেলেরা তা করতে সক্ষম হয়েছে।’
এদিকে, বুধবার অ্যানফিল্ডে আসার পথে বেশ কিছু লিভারপুল সমর্থকদের রোশের মুখে পড়তে হয় রিয়াল মাদ্রিদের টিম বাসকে। তাদের ছোঁড়া ইটে জানালার কাচ ভাঙে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে লিভারপুল কর্তৃপক্ষ।