রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
(চুপো-মোতিং)
দু’লেগ মিলিয়ে ফল ৩-৩, অ্যাওয়ে গোলের নিরিখে জয়ী পিএসজি
প্যারিস: ইতালির রেফারি ড্যানিয়েল ওর্সাতো শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গেসঙ্গে বিদায়ের যন্ত্রণা ধরা পড়ল বায়ার্ন মিউনিখ কোচ হান্স ফ্লিকের চোখেমুখে। তিনি নিশ্চয়ই ভাবছিলেন, রবার্ট লিওয়ানডস্কি কিংবা সের্গে নাবরি থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এভাবে ছিটকে যেতে হতো না। চোট ও করোনার কারণে এই দুই স্ট্রাইকারের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিল পিএসজি। ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে ০-১ ব্যবধানে হেরেও নেইমাররা পৌঁছলেন পরবর্তী পর্যায়ে। কারণ, অ্যালায়েঞ্জ এরিনায় মরিসিও পোচেত্তিনো ব্রিগেড জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে। যা মুছে ফেলার জন্য মঙ্গলবার দু’গোলের ব্যবধানে জিততে হতো টমাস মুলারদের। পক্ষান্তরে, পিএসজি’র লক্ষ্য ছিল, ঘরের মাঠে জিতে গতবারের ফাইনালের হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়া। প্রথম লেগে নেইমার-এমবাপে জুটি জয় এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন বিপক্ষ জাল কাঁপাতে ব্যর্থ তাঁরা। বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলের মতো সুযোগ নষ্ট করলেন নেইমার। তাঁর দু’টি প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় যথাক্রমে ক্রসপিস ও পোস্টে।
ম্যাচের গতির বিপরীতে ৪০ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিং। আলবার শট পিএসজি গোলরক্ষক কেলর নাভাস আংশিক প্রতিহত করলে ফিরতি বল হেডে জালে জড়ান তিনি (১-০)। এই মুহূর্তে তো বটেই, গোটা ম্যাচে চূড়ান্ত নিষ্প্রভ ছিলেন ফরাসি ক্লাবটির ডিফেন্ডার কিমপেম্বে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে দু’টি লেগেই স্কোরশিটে নাম তুললেন মোতিং। এই গোলের পরই হঠাৎ ম্যাচের চালচিত্রে বদল ঘটে। বিরতির পর অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় বায়ার্ন। পক্ষান্তরে, দ্বিতীয় গোল হজম না করাই লক্ষ্য ছিল পিএসজি’র।
দ্বিতীয়ার্ধে বিপক্ষ বক্সে একাধিক আক্রমণ শানালেও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ গতবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাব যার অন্যতম কারণ। পক্ষান্তরে, প্রতি-আক্রমণে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালান নেইমাররা। ৭৮ মিনিটে এমবাপে জাল কাঁপালেও তা অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ। হেরেও উল্লাসে মেতে ওঠেন নেইমার-এমবাপেরা। তবে সেমি-ফাইনালে পৌঁছলেও, দলের রক্ষণ নিয়ে উদ্বেগে থাকতে হবে ফরাসি দলটির আর্জেন্তাইন কোচ মরিসিও পোচেত্তিনোকে।
গোল না পেলেও ম্যাচের সেরা হয়েছেন নেইমার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে দলগত সংহতি। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বশ মানানো যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু আমরা তা সহজে করেছি।’