কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জয়ের জন্য কেকেআরের প্রয়োজন ছিল ১৫৩ রান। দুলকি চালেই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার শুভমান গিল ও নীতীশ রানা। এই জুটির পতন ঘটে ৭২ রানে। গিল ৩৩ করে আউট হন। মাত্র ৫ রানে রাহুল চাহারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন রাহুল ত্রিপাঠি। পরপর দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে মুম্বই। তবে নীতীশ রানা গত ম্যাচের মতোই জয়ের পথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ৪৭ বলে ৫৭ রান করেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। কিন্তু ক্যাপ্টেন মরগ্যান (৭) একেবারেই যে ফর্মে নেই, সেটা স্পষ্ট। উইকেটে টার্ন ছিল। তাই বল হাতে তুলে নেন রোহিতও। তবে নাইট মিডল অর্ডারে বড় ধাক্কাটা দেন রাহুল চাহার। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রনে চার উইকেট তুলে মুম্বইকে ম্যাচে ফেরান এই তরুণ স্পিনার। একটা সময় ৩০ বলে ৩২ রান বাকি থাকলেও তা সংগ্রহ করতে পারেননি নাইটরা। মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব-আল হাসান (৯), দীনেশ কার্তিক (৮ অপরাজিত)। আর শেষ ওভারে রাসেল (৯) ও কামিন্সকে (০) ফিরিয়ে মুম্বইয়ের জয় নিশ্চিত করেন টেন্ট্র বোল্ট।
মঙ্গলবার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন কলকাতার ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, তা প্রমাণ হতে বেশি সময় লাগেনি। পাওয়ার প্লে’তে দ্রুত গতিতে রান তোলার যেমন সুযোগ থাকে, তেমনই আউট হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। আর সেই ঝুঁকিই এদিন নেয় নাইট রাইডার্স। দ্বিতীয় ওভারেই কুইন্টন ডি’কক ২ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব কেকেআরের বোলারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সূর্য হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নাইটদের আরও চাপে ফেলে দেন। কিন্তু তিনি ৫৬ রানে আউট হওয়ার পর আচমকাই মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। এক্ষেত্রে অজি পেসার প্যাট কামিন্সের প্রশংসা করতেই হবে। তিনি দু’টি মূল্যবান উইকেট নেন। তাঁর প্রথম শিকার ঈশান কিষান (১)। মুম্বই অধিনায়ক রোহিতও ৪৩ রানে কামিন্সের বলে বোল্ড হন।
মুম্বইয়ের মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। হার্দিক পান্ডিয়া (১৫) নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তারপর একে একে মুম্বইয়ের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন রাসেল। নিজের প্রথম ওভারে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারটি ৫ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দু’টি ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হজম করলেও দারুণভাবে ফিরে আসেন তিনি। পর পর ডাগ-আউটে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া (১৫) ও বুমরাহকে (০)। হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল রাসেলের সামনে। কিন্তু তা হয়নি। অন্তিম ডেলিভারিতে চাহারকে ফিরিয়ে অবশ্য ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন তিনি।