কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ম্যাচ জেতাতে না পারলেও সঞ্জু স্যামসনের এই শতরানের অন্য তাৎপর্য রয়েছে। গত ডিসেম্বরে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সফল হননি। অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁর ঝুলিতে ছিল মাত্র ৪৮ রান। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয় তাঁকে। সেই প্রেক্ষিতে সোমবারের ইনিংস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা যা ভাগ করছেন দু’টি পর্বে। প্রথমে ক্রিজে থাকায় মন দিয়েছিলেন তিনি। আর তারপর স্বকীয় মেজাজে বিপক্ষ বোলার সংহারে মেতে উঠতে দেখা গেল তাঁকে। আগের মতো আগাগোড়া টপ গিয়ারে ব্যাটিংয়ের গাড়ি চালালেন না তিনি। যার নেপথ্যে রয়েছে বাবার তীব্র বকাবকি। অস্ট্রেলিয়ায় ব্যর্থতার পর বাবা বুঝিয়েছিলেন যে, নেমেই বড় শট নেওয়া যাবে না। একটা-দুটো ছক্কা মেরে ফিরে এলে নিজের তো বটেই, দলেরও সমস্যা হচ্ছে। প্রসঙ্গক্রমে বিশ্বনাথ স্যামসন বললেন, ‘নিজের জন্যই খেলার পরামর্শ দিয়েছিলাম ওকে। তবে স্বার্থপর হতে বলিনি।’
বাবার পরামর্শ ছেলের খুব পছন্দ হয়েছিল, এমন মোটেই নয়। সঞ্জুর সওয়াল ছিল, ‘অস্ট্রেলিয়ায় দলের প্রয়োজনে নেমেই নিতে হয়েছে বড় শট। ব্যাট করতে যাওয়ার সময় স্কোরবোর্ডের কথা ছিল মাথায়। ফলে বল নষ্ট করার প্রশ্নই ছিল না। চালাতেই হতো। নিজের জন্য খেলতে আমি পারব না।’ তখন বাবার পাল্টা যুক্তি ছিল, ‘তোর মতো প্রতিভা নিয়ে অন্যরা পরবর্তী পর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে। কিন্তু তুই আটকে যাচ্ছিস। কোথায় সমস্যা হচ্ছে, কেন পারছি না, এটা তোকেই বুঝতে হবে।’
আইপিএলের আগে ছেলেকে টিপস দিতে ভোলেননি বাবা। বলেছিলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। বিপক্ষকে উইকেট উপহার দেওয়া চলবে না।’ পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে সঞ্জুর ইনিংসে সেই মানসিকতাই প্রতিফলিত। যা স্বস্তি দিচ্ছে বাবাকে, ‘এই ম্যাচে ও শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছে। সঞ্জু ঠুকঠুক করে ক্রিজে থাকার ব্যাটসম্যান নয়। নেতৃত্বের দায়িত্ব ওকে পরিণত করেছে।’
পরাজয়ের তিক্ততার মধ্যেও ছেলের পরিণত হয়ে ওঠাই এখন বাবাকে সান্ত্বনা জোগাচ্ছে।