বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুম্বই: রোমাঞ্চকর ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৪ রানে হারাল পাঞ্জাব কিংস। দলকে জেতাতে না পারলেও রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের লড়াই ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে। ৬৩ বলে ১২টি বাউন্ডারি ও ৭টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে তাঁর সংগ্রহ ১১৯। শেষ ২ বলে জয়ের জন্য রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। পঞ্চম বলে ইচ্ছাকৃতভাবেই সিঙ্গলস নেননি সঞ্জু। তিনি ভেবেছিলেন, ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কড়ি এনে দেবেন। কিন্তু তা হয়নি। অর্শদীপের অন্তিম ডেলিভারিতে ওভারবাউন্ডারি মারতে গিয়ে সঞ্জু ধরা পড়েন দীপক হুদার হাতে। জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন লোকেশ রাহুল, ক্রিস গেইলরা। তবে সঞ্জু যদি সিঙ্গলস নিতেন এবং শেষ বলে মরিস বাউন্ডারি হাঁকালে খেলা গড়াত সুপার ওভারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনায় আগেই জল ঢেলে দেন পাঞ্জাব অধিনায়ক।
জবাবে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি রাজস্থানের। ওপেনার বেন স্টোকস খাতা খুলতে ব্যর্থ। মনন ভোরা ১২ রানে ডাগ-আউটে ফেরেন। কিন্তু জোড়া ধাক্কা সামলে জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ঘুরে দাঁড় করান সঞ্জু স্যামসন। ২৫ রানে বাটলার আউট হলেও লড়াই চালিয়ে যান তিনি। কখনও শিবম দুবে (২৩), কখনও রিয়ান পরাগ (২৫) তাঁকে সঙ্গত দেন। কিন্তু বৃথা যায় সঞ্জুর শতরান। তিনি যেন ম্যাচের ‘ট্র্যাজিক হিরো’।
ওয়াংখেড়ের পিচে রানোৎসব নতুন নয়। তবে পাঞ্জাব প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের (১৪) উইকেট হারায়। প্রাথমিক ঝটকা সামলে দলকে ঘুরে দাঁড় করান রাহুল। ভালো ব্যাট করেন ক্রিস গেইলও ( ৪০)। তবে ১৫ রানে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ বাউন্ডারি লাইনে বেন স্টোকস না ফেললে ম্যাচের চালচিত্র অন্যরকম হতেই পারত। ৩০ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। দীপক হুদা ২৮ বলে ঝড়ের গতিতে ৬৮ রান যোগ করেন। মাত্র ২০ বলেই তিনি ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান। তৃতীয় উইকেটে রাহুল ও হুদা তোলেন ১০৫ রান। এই জুটি ভাঙতে কালঘাম ছুটে যায় রাজস্থানের বোলারদের। ১৬.২৫ কোটি টাকা দেওয়া নেওয়া ক্রিস মরিস যখন হুদাকে আউট করলেন, তখন পাঞ্জাবের স্কোর ২ উইকেটে ১৯৪। মাত্র ন’রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় লোকেশ রাহুলের। তবে তাঁর হাঁকানো সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কা সমর্থকদের আনন্দ দিয়েছে। তবে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সঞ্জু স্যামসন।