গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আইপিএল এবার হচ্ছে দেশের মাটিতেই। তাই গতবারের তুলনায় চেন্নাই সুপার কিংস ভালো ফল করবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ধোনির বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব সিএসকে’র ইউএসপি। সেই তুলনায় দিল্লি কিছুটা চাপে। চোটের কারণে নেই শ্রেয়স আয়ার। তাঁর জায়গায় অধিনায়ক করা হয়েছে ঋষভ পন্থকে। সেটা কতটা কার্যকরী সিদ্ধান্ত, তা সময় বলবে। তবে চতুর্দশ আইপিএলে চেন্নাই-দিল্লির প্রথম সাক্ষাৎ ঘিরে ক্রিকেট দুনিয়া সরগরম। তার অন্যতম কারণ, ধোনি-ঋষভের দ্বৈরথ। এই প্রসঙ্গে দিল্লির নবনিযুক্ত অধিনায়ক বলেছেন, ‘ক্যাপ্টেন হিসেবে এটা আমার প্রথম ম্যাচ। তাও আবার মাহি ভাইয়ের দলের বিরুদ্ধে। দারুণ এক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। আমি সব সময়ই এমএসডি’কে ফলো করি। মাহি ভাইয়ের থেকে শেখারও চেষ্টা চালাই। তবে এক্ষেত্রে নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করব। দেখা যাক কী হয়।’
দিল্লির ব্যাটিং যথেষ্ট শক্তিশালী। শিখর ধাওয়ান ও পৃথ্বী সাউ হয়তো ওপেন করবেন। তিন নম্বরে নামতে পারেন স্টিভ স্মিথ। তাই অজিঙ্কা রাহানের খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শ্রেয়স না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে দেখা যেতে পারে ঋষভকে। দারুণ ফর্মে আছেন দিল্লির অধিনায়ক। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তিনি চমকপ্রদ পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিলেন। সেই কারণেই তাঁর উপর দিল্লির সমর্থকদের প্রত্যাশা একটু বেশি। মিডল অর্ডারে মার্কাস স্টোইনিস, শিমরন হেটমায়ারকে খেলাতে পারেন কোচ রিকি পন্টিং। অজি অলরাউন্ডার স্টোইনিস গত আইপিএলে দারুণ সার্ভিস দিয়েছিলেন।
দিল্লির বোলিং তুলনায় কিছুটা দুর্বল। তার বড় কারণ, কাগিসো রাবাডা কিংবা এনরিখ নর্টজের কোয়ারেন্টাই পর্ব এখনও শেষ না হওয়া। তাই প্রথম ম্যাচে তাঁরা খেলতে পারবেন না। সেই কারণেই ক্রিস ওকসের সঙ্গে ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবকে পেস আক্রমণে দেখা যেতে পারে। দুই স্পিনার হতে পারেন বর্ষীয়ান অমিত মিশ্র ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
চেন্নাই সুপার কিংসের সবচেয়ে বড় শক্তি অভিজ্ঞতা। তবে এবার শেন ওয়াটসন না থাকায় দেখা যাবে নতুন ওপেনিং জুটি। ফাফ ডু’প্লেসির সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করতে পারেন মঈন আলি। মূলত পাওয়ার প্লে’কে কাজে লাগাতে চাইবেন ধোনি। অভিমান ভুলে ফের হলুদ জার্সিতে মাঠে নামতে তৈরি সুরেশ রায়না। আইপিএলের মঞ্চে চেন্নাই সুপার কিংসের সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদান ভোলার নয়। গতবার করোনার ভয়ে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন। রায়না ফেরায় সিএসকে’র ব্যাটিং বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে। সেই সঙ্গে অম্বাতি রায়াডু, এম এস ধোনি মিডল অর্ডারের চাপ সামলাতে তৈরি। চোট সারিয়ে রবীন্দ্র জাদেজা কতটা তৈরি তা বোঝা যাবে এই ম্যাচেই। ভারতীয় দলে যেভাবে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, তাতে জাড্ডু কোনওভাবেই টি-২০ বিশ্বকাপের আগে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। এছাড়া পেস অলরাউন্ডার স্যাম কারান, ডোয়েন ব্র্যাভোর ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টি-২০ স্পেশালিস্ট পেসার শার্দূল ঠাকুর ও দীপক চাহারের উপর আগাধ আস্থা ধোনির। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে সিএসকে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমকে খেলাতে পারে।
ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে। স্টার স্পোর্টসে সরাসরি দেখা যাবে।