কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আইপিএল যে শুধু তারকাদের মঞ্চ নয়, সেটা হার্শল প্যাটেলের মতো ক্রিকেটারদের সাফল্যই প্রমাণ করে। শুক্রবার আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নেতা বিরাট কোহলি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের শুরু থেকেই প্রচারের আলো শুষে নিচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু আচমকাই তাতে ভাগ বসালেন আরসিবি’র তরুণ পেসার হার্শল প্যাটেল। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন তিনি।
তবে জবাবে স্বল্প পুঁজি নিয়েও মুম্বইয়ের বোলাররা চেপে ধরেন কোহলি বাহিনীকে। দেবদূত পাদিক্কাল ফিট না হওয়ায় বিরাটের সঙ্গে ওপেন করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। সুন্দর ১০ রানে আউট হন। রজত পাতিদারকে ৮ রানে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। একটা সময় আরসিবির রান ছিল ২ উইকেটে ৪৬। এর পর বিরাট কোহলি ও ম্যাক্সওয়েল প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। তবে ১৩তম ওভারে বিরাটকে (৩৩) সাজঘরে ফেরান বুমরা। আর ১৫তম ওভারে জানসেনের শিকার হন ম্যাক্সওয়েল (৩৯)। এরপর চাপ বাড়লেও বেঙ্গালুরুকে ভরসা জোগান ডি’ভিলিয়ার্স। তাঁর ২৭ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসই আরসিবিকে জয়ের দৌরগড়ায় পৌঁছে দেয়। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ রান। তখন অনেকে ভেবেছিলেন ডি’ভিলিয়ার্স ক্রিজে রয়েছেন, সহজে জিতে যাবে বিরাট-বাহিনী। কিন্তু চতুর্থ বলে তিনি রান আউট হলে ম্যাচ রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। তবে শেষ বলে দলকে জয় এনে দেন এদিনের নায়ক হার্শল। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ উইকেট নিয়ে নজিরও গড়লেন বেঙ্গালুরুর এই পেসার।
এদিন টসে জিতে আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথমে ফিল্ডিং নেন। কারণ, তিনি রান তাড়া করতে পছন্দ করেন। তবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা প্রত্যাশা মতো হয়নি। ক্রিস লিনের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন রোহিত শর্মা। কিন্তু, ভুল বোঝাবুঝিতে রোহিত (১৯) রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ক্রিস লিন ও সূর্যকুমার যাদব মুম্বইকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে সূর্য দুর্ধর্ষ ব্যাটিং উপহার দিয়েছিলেন। ফলে তাঁকে ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা ছিল। প্রত্যাশামতোই শুরু করেছিলেন সূর্য। কিন্তু, ৩১ রানে হঠাৎই তিনি জেমিসনের বলে এবি’র হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। লিনকে ৪৯ রানে ডাগআউটে ফেরান ওয়াশিংটন সুন্দর।
স্লগ ওভারে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের জন্য সুনাম রয়েছে মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু, এদিন শেষ পাঁচ ওভারে ক্রুনালরা মাত্র ৩১ রান যোগ করতে সফল হন। এই পর্বে ৬টি উইকেটও পড়ে। এক্ষেত্রে আরসিবির পেসার হার্শলের প্রশংসা করতেই হবে। পরপর তিনি আউট করেন হার্দিক (১৩) ও ঈশানকে (২৮)। কিয়েরনও পোলার্ডও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। দুই ব্যাটসম্যানই হার্শলের শিকার। ক্রমাগত উইকেট পড়ায় মুম্বইয়ের রানের গতিও মন্থর হয়ে পড়ে। আর সেই সুযোগে আরসিবির বোলাররা আরও চেপে ধরেন গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। মার্কো জ্যানসেনকে আউট করে পঞ্চম উইকেটের স্বাদ পান হার্শল।