কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওপেন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরাট। গত মরশুমে আরসিবি’র হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা দেবদূত পাদিক্কালের সঙ্গী হবেন তিনি। শুরুতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এলেও দেবদূতের পরের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এই মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেটেও অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনারটি। বিরাটের সঙ্গে তাঁর জুটির দিকে তাই নজর থাকবে ক্রিকেটমহলের।
আরসিবি’র মিডল অর্ডারে এবার বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের ছড়াছড়ি। এবি ডি ভিলিয়ার্স তো ছিলেনই। যোগ দিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দু’জনে মেজাজে থাকলে বিপক্ষ চিন্তায় পড়তে বাধ্য। খেলতে পারেন ঘরোয়া ক্রিকেটে সাড়া ফেলা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মহম্মদ আজহারউদ্দিনও।
মুম্বই দলে অবশ্য ম্যাচ উইনার তুলনায় বেশি। আরসিবি যেখানে কোহলি-এবিডি’র উপর নির্ভরশীল থেকেছে গত কয়েক মরশুমে, সেখানে মুম্বইয়ের অবস্থা একেবারেই তা নয়। দলে রোহিত নির্ভরতা তুলনায় কম। ঈশান কিষান, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, কিয়েরন পোলার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়ারা সবাই ঝড় তুলতে পারেন।
কোভিডের কারণে এবার ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ পাচ্ছে না কোনও দল। ফলে, চিপকের স্পিন সহায়ক উইকেটের সঙ্গে দ্রুত ধাতস্থ হতে হবে দুই দলকেই। আরসিবি’র যুজবেন্দ্র চাহাল বনাম মুম্বইয়ের রাহুল চাহারের স্পিন দ্বৈরথ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। দুই শিবিরে আছেন জাতীয় দলে খেলা অন্য স্পিনারও। কোহলির বড় ভরসা ওয়াশিংটন সুন্দর। চিপক আবার তাঁর ঘরের মাঠ। রোহিতের সেরা অস্ত্র স্পিনার ক্রুনাল। দরকার পড়লে তৃতীয় স্পিনারও ব্যবহার করতে পারে দুই দল। তাই পীযূষ চাওলা, জয়ন্ত যাদবকেও তৈরি রেখেছে মুম্বই।
বেঙ্গালুরুর স্পিন বিভাগে রয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা, বাংলার শাহবাজ আমেদ। আর দরকারে হাত ঘোরাতে পারেন ম্যাক্সওয়েলও। তবে ব্যাট হাতে তাঁকে মারমুখী মেজাজে চাইছে আরসিবি। যশপ্রীত বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্টরা মুম্বইয়ের পেস বোলিংকে নেতৃত্ব দেবেন। পার্টটাইম পেসারের ভূমিকা দেখা যেতে পারে পোলার্ডকে। আরসিবি’র পেস বিভাগে তারুণ্যের ঝলকানি স্পষ্ট। মহম্মদ সিরাজ, নবদীপ সাইনিদের উপর ভরসা রাখতে পারেন কোহলি। পাশাপাশি কাইল জেমিসনের গতিকেও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে আরসিবি’র সামনে। আছেন অলরাউন্ডার ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানও।
পাঁচ মাস আগেই আমিরশাহিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই। সেই আত্মবিশ্বাস এবারও তাদের সঙ্গী। অন্যদিকে, বিরাটরা চাইবেন নতুন ভাবে শুরু করতে। ফলে, চিপকে জমজমাট উদ্বোধনী ম্যাচের অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।