বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শনিবার জিততে পারলে সবুজ-মেরুনের কাজটা অনেক সোজা হয়ে যেত। কিন্তু ম্যাচের শেষ লগ্নে গোল হজম করে নিজেদের উপর চাপ বাড়িয়ে নেয় প্রীতম-শুভাশিসরা। অথচ প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে দলের রক্ষণভাগই ধারাবাহিকভাবে ভরসা দিয়েছে এটিকে মোহন বাগানকে। দুই সেন্ট্রাল স্টপার সন্দেশ ও তিরির মধ্যে বোঝাপড়ার সুফল পেয়েছে হাবাসের দল। কিন্তু নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে শনিবার এই দুই নিয়মিত স্টপার না থাকায় সমস্যায় পড়ে দল। যদিও তা মানতে নারাজ হাবাস। স্প্যানিশ কোচটি বলেছেন, ‘আমার তো মনে হয় না, সন্দেশ ও তিরি না খেলায় কোনও অসুবিধা হয়েছে। প্রীতম কোটাল, কার্ল ম্যাকহ্যাগরা ডিফেন্স ভালোই সামলেছে। আসলে শেষ মুহূর্তে ভুল বোঝাবুঝির কারণে গোল হজম করতে হয়েছে আমাদের। ওরা সেই অর্থে খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৫ মিনিট পর্যন্ত খেলার উপর আমাদেরই নিয়ন্ত্রণ ছিল। তাই আমার বিশ্বাস, মঙ্গলবার ফিরতি লেগে নর্থ ইস্টকে হারানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
আইএসএলের সফল কোচ সেই সঙ্গে বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা বলছে, সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে কোনও দল বড় ব্যবধানে জিতেও বহু ক্ষেত্রে ফাইনালে খেলতে পারেনি। তাই আমাদের আশাহত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এখনও সুযোগ রয়েছে। নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে পারলে ফাইনালে উঠবই। তারপর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারেও আমি আশাবাদী।’ সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সন্দেশ ও তিরিকে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন হাবাস।
নর্থ ইস্টের কোচ খালিদ জামিলও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আর সেই আশা বাঁচিয়ে রাখতে মঙ্গলবার এটিকে মোহন বাগানকে হারাতে মরিয়া তিনি। আইজলের হয়ে আই লিগ জয়ী ভারতীয় কোচ বলছেন, ‘শুরুতেই গোল করা নিয়ে আমি ভাবি না। আগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে মোক্ষম সময়ে গোল তুলে নেওয়াই আমার লক্ষ্য থাকে।’ গতবার আই লিগ জয়ী মোহন বাগানের সাইড ব্যাক আশুতোষ মেহতা এবার খালিদের দলে রয়েছেন। কোচের প্রশংসা করে আশুতোষ বলছেন, ‘খালিদ ভাই গোটা দলের মানসিকতা বদলে দিয়েছেন। আগের কোচ জেরার্ড নাস যা করতে পারেননি। মাঠে নামার আগে খালিদ ভাই বলে দেন, সবাই নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলো। প্রতিপক্ষকে বুঝে নিয়ে কৌশল তৈরি করো। তাঁর অধীনে আমরা স্বাধীনভাবে খেলছি। এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছি না।’