বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ টেস্টে খেলতে নামার আগেও বাইশ গজ সংক্রান্ত প্রশ্ন ভেসে আসে বিরাট কোহলির দিকে। আর তাতেই মেজাজ হারান ভারত অধিনায়ক। সাংবাদিক সম্মেলনে উগরে দিলেন একরাশ ক্ষোভ। কোহলি বলেন, ‘ঘূর্ণি পিচ নিয়ে বড় বেশি কথা হচ্ছে। এটা এবার বন্ধ হওয়া উচিত। আমি জানি না, দেশের মাটিতে ঘূর্ণি পিচ দেখে লোকে কেন এত ভিরমি খাচ্ছে! আর সেটাকেই বিশালাকারে তুলে ধরছে প্রচারমাধ্যম। বিষয়টির যৌক্তিকতা নিয়ে ভাবছে না। ঘরের মাঠে স্পিন সহায়ক উইকেটে আমরা দু’টি টেস্ট জিততেই পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়াটা কখনওই কাম্য নয়।’ এরপরেই তিনি যোগ করেন, ‘দেশে ও বিদেশে আমাদের দলের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি হল, পিচ সংক্রান্ত উদার মনোভাব। উইকেটের চরিত্র নিয়ে অহেতুক আলাপ আলোচনা বা অভিযোগ অনুযোগ করি না। পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের খেলার উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করে যাই।’
বিরাট কোহলির অন্যতম অস্ত্র তাঁর আক্রমণাত্মক মনোভাব। এতদিন যে আঁচ মাঠের মধ্যে দেখা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে তা ধরা পড়ল মোতেরার ঝলমলে প্রেস কনফারেন্স রুমে। পিচ বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে ‘ভিকে’ যেন থামতেই চাইছিলেন না। নিজের বক্তব্যের পক্ষে উদাহরণ মেলে ধরতে গিয়ে গত বছরের নিউজিল্যান্ড সফরের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি। সেই সিরিজে ০-২ ব্যবাধানে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। ওয়েলিংটনের প্রথম টেস্টে বৃষ্টির কারণে প্রায় গোটা একদিনের খেলা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও চতুর্থদিন লাঞ্চের আগেই শেষ হয়েছিল ম্যাচ। ভারত হেরেছিল ১০ উইকেটে। এরপর ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয়ে যায় আড়াই দিনেই। ৭ উইকেটে হেরেছিল ভারতীয় দল। সেই প্রসঙ্গ টেনে কোহলি বলেন, ‘২০২০ নিউজিল্যান্ড সফরে ২-০ ব্যবধানে হারের পর আমাদের ব্যর্থতা নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছিল। হজম করতে হয়েছিল প্রচুর সমালোচনা। কিন্তু ওই সফরে কেমন পিচে আমাদের খেলতে হয়েছিল, সেই বিষয়ে একটা শব্দও কি কেউ খরচ করেছেন? ভারতের পিচে বল ঘুরলে সবাই একজোট হয়ে কটাক্ষ শুরু করে দেয়। কিন্তু বিদেশে উইকেট নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা থাকে না! আশা করি, এরপর যখন আমরা ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ফের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হব, তখন আপনারা নিশ্চয়ই পিচ নিয়ে প্রশ্ন করবেন।’