পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার নবনির্মিত মোতেরায় পিঙ্ক বল ম্যাচ শুরুর প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ বিশেষ স্মারক তুলে দেন ইশান্তের হাতে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। স্মারক ছাড়াও ইশান্ত পেয়েছেন বিশেষ ক্যাপ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ দেন সতীর্থরা। ইশান্তকে সংবর্ধিত করার বিভিন্ন মুহূর্ত ট্যুইটারে পোস্ট করা হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে।
দীর্ঘ ১৬ বছরের কেরিয়ারে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শততম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করলেন ইশান্ত। চোট-আঘাত কিংবা খারাপ ফর্মও তাঁকে দমাতে পারেনি। সংকল্পের জোরে আজও ভারতীয় দলকে ভরসা জুগিয়ে চলেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোলাপি টেস্টে নামার আগে ৯৯ ম্যাচে ৩২ বছরের ইশান্তের ঝুলিতে ছিল ৩০২টি উইকেট। শততম ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই তাঁর ঝুলিতে যোগ হয় আরও একটি শিকার। ডম সিবলিকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে কীর্তির ম্যাচকে আনন্দমুখর করে তোলেন ইশান্ত। নিজের মাইলস্টোনের বর্ণনা করতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘প্রত্যেক ক্রীড়াবিদের জীবনে উত্থান-পতন থাকে। আমিও ব্যতিক্রম নই। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কখনও হাল ছাড়িনি। তাই শততম টেস্ট খেলতে পারলাম। এই কীর্তির অনুভূতিই আলাদা। দলের প্রত্যেককে বলি, দীর্ঘদিন ধরে খেলে যেতে হলে ফিটনেসের দিকে নজর জিতে হবে। তাহলেই পুরস্কার মিলবে।’
ইশান্তের প্রশংসা করে শচীন তেন্ডুলকর বলেছেন, ‘শততম টেস্ট খেলা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই দারুণ ব্যাপার। আর সেটা যদি কোনও ফাস্ট বোলার অর্জন করে, তাহলে তার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। ইশান্তের জন্য তাই কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। ওকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি, আরও কিছুদিন সে ভারতীয় দলের সেবা করবে।’ এক সময়ের সতীর্থ আশিস নেহরাও কুর্নিশ জানিয়েছেন ইশান্তের অদম্য লড়াইকে। তাঁর কথায়, ‘সেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় থেকেই ওকে দেখছি। পরিস্থিতি যত প্রতিকূল হোক না কেন, হাল ছাড়েনি। ফিরে এসেছে দারুণভাবে। ইশান্তের নিষ্ঠা ও সংকল্প দেখে আমি মুগ্ধ।’