কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন নটরাজন। পাড়ার লোকেরা তাঁকে রথে চাপিয়ে শোভাযাত্রা করেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি টেস্টে দলে না থাকলেও হাল ছাড়ছেন না তিনি। নটরাজন বলেছেন, ‘সুযোগ পেলে ফের নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করব। তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখছি। অস্ট্রেলিয়ায় তিন ফরম্যাট তো দূর-অস্ত, কোনও একটিতেও অভিষেক হবে ভাবিনি। আমাকে যখন বলা হল তৃতীয় ওয়ান ডে’তে খেলব, তখন সেরাটা উজাড় করে দেওয়া ছাড়া কিছু মাথায় ছিল না। প্রথম উইকেট নেওয়ার পর ভীষণ আনন্দ পেয়েছিলাম। সেই খুশি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। হঠাৎ স্বপ্নপূরণ হলে বোধহয় এমন অনুভূতিই হয়। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য কোচ এবং সতীর্থদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সবাই আমাকে উৎসাহিত করেছেন।’ ডনের দেশে ভারতের টি-২০ সিরিজ জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন নটরাজন। তাই ফটো সেশনের সময় তাঁর হাতেই ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। সেই প্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর পেসারটি বলেন, ‘কোহলির হাত থেকে ট্রফিটা নেওয়ার পর আমার দুই চোখ জলে ভরে গিয়েছিল। আবেগ কিছুতেই চেপে রাখতে পারছিলাম না।’
অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে সাফল্য পেতে তাঁকে সাহায্য করেছে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা। এমনটাই জানিয়েছেন নটরাজন। তাঁর কথায়, ‘আইপিএল এমন একটা টুর্নামেন্ট যেখানে বিশ্বের বহু তারকা ক্রিকেটার খেলে থাকেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে আমার ক্যাপ্টেন ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। উনিও আমাকে অনুপ্রাণিত করতেন। তাই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা নিয়ে বাড়তি চাপ ছিল না। বরং খেলাটাকে উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে ওয়ার্নারও আমার পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন। সেটাও কম প্রাপ্তি নয়।’