নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষিত হয় শুক্রবার। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করার ব্যাপারে চাপ বাড়াল ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট। লাল-হলুদ তাঁবুতে এই চিঠি শনিবার এসেছে। এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন, ‘টার্মশিট অনুযায়ী দ্রুত চুক্তিতে সই করুন কর্তারা। না হলে চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’ বলাই বাহুল্য, এই চিঠি ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের অন্দরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার শনিবার রাতে জানান, ‘টার্মশিট ও চূড়ান্ত চুক্তির ফরম্যাটের মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই। প্রয়োজনে আগামী দু’বছর আইএসএল খেলব না। কিন্তু ক্লাব বিক্রি হতে দেব না। সদস্য-সমর্থকদের আবেগের মূল্য দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। ইনভেস্টরের দেওয়া চুক্তিপত্রে সই করছি না। কারণ, গত ৫ সেপ্টেম্বর যে টার্মশিটটি দেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে আরও পাঁচটি উপধারা যোগ করা হয়েছে। ইস্ট বেঙ্গল তাঁবু ও মাঠ আমরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। তার ইউজার্স রাইট এককভাবে শ্রী সিমেন্টকে দিতে পারি না। তবে যৌথভাবে শ্রী সিমেন্ট তাঁবু ও মাঠ ব্যবহার করবে। বিশেষ সাধারণ সভায় সদস্যরা ক্লাবের এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। প্রচুর সমর্থক ই-মেল কিংবা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক। এই স্পর্শকাতর ইস্যুতে ৮২০০ সদস্য আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। এর প্রমাণ পেয়েছি সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে। চুক্তিপত্র সইয়ের ব্যাপারে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলেই শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও পাল্টা প্যানেল জমা পড়েনি। আমাদের সিদ্ধান্ত সদস্যদের অপছন্দ হলে তাঁরা তো এই ইস্যুতে প্যানেল দিয়ে বাজার গরম করতেই পারতেন। এই ব্যাপারে পাশে পেয়েছি একাধিক বিখ্যাত ফুটবলারকে। তাই আমাদের পাঠানো সংশোধিত চুক্তিপত্রই ইনভেস্টরকে মেনে নিতে হবে। বিনীতভাবে ওদের জানাতে চাই যে, ক্লাবের নবগঠিত কর্মসমিতি শ্রী সিমেন্টের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।’
দুবাইয়ে রয়েছেন শ্রী সিমেন্টের শীর্ষ কর্তা হরিমোহন বাঙ্গুর। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সাতদিনের চরমসীমা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। হতাশা খুবই কঠিন শব্দ। তাই আমরা হতাশজনক কিছু বলছি না। তবে চার মাস হয়ে গেল। এবার চুক্তিতে সই হওয়া উচিত।’