পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
(গ্রিজম্যান-২) (মার্কোস, ভিয়ালিব্রে, উইলিয়ামস)
সেভিয়া: দু’বার এগিয়ে থেকেও জিততে ব্যর্থ বার্সেলোনা। রবিবার সেভিয়ার এস্তাদিও লা কার্তুজায় কাতালন ক্লাবটিকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় সুপার কাপ ঘরে তুলল অ্যাথলেতিক বিলবাও। বলা বাহুল্য, এই ফল মেনে নিতে পারেননি লিও মেসি। তাই ম্যাচের শেষ লগ্নে মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখেন তিনি। বার্সেলোনার জার্সিতে এটাই তাঁর প্রথম মার্চিং অর্ডার। উল্লেখ্য, আর্জেন্তিনার জার্সিতে এর আগে দু’বার লাল কার্ড দেখেছিলেন আর্জেন্তাইন মহাতারকা। ২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই মার্চিং অর্ডারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। এছাড়া ২০১৯ কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থানাধিকারী ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন মেসি।
রবিবার অ্যাথলেতিকোর হয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন অস্কার ডে মার্কোস, আসিয়ের ভিয়ালিব্রে ও ইনাকি উইলিয়ামস। বার্সেলোনার হয়ে জোড়া গোল আতোয়াঁ গ্রিজম্যানের। সেমি-ফাইনালে রিয়াল সোসিদাদকে ট্রাই-ব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল বার্সেলোনা। চোটের জেরে সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি দলের প্রাণভোমরা লিও মেসি। তবে ফাইনালে কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই তাঁকে খেলিয়েছেন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। তাই চেনা ছন্দে দেখা যায়নি এলএমটেনকে। ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন করে। ৪০ মিনিটে সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে দলকে এগিয়ে দেন গ্রিজম্যান (১-০)। যদিও মিনিট দু’য়েকের মধ্যেই সেই লিড হাতছাড়া করে কোম্যান-ব্রিগেড। উইলিয়ামসের ক্রস থেকে ডানপায়ের শটে জাল কাঁপান মার্কোস (১-১)।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায় বিলবাওয়ের ক্লাবটিকে। ৫৭ মিনিটে রাউল গার্সিয়া হেডে লক্ষ্যভেদ করলেও, ভারের সাহায্যে তা বাতিল করেন রেফারি। এরপর ৭৭ মিনিটে ফের একবার বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন গ্রিজম্যান। এবার জর্ডি আলবার পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি অ্যাটাকারটি (২-১)। এরপর রক্ষণ জমাট করে রাখাই ছিল বার্সার লক্ষ্য। কিন্তু ডিফেন্ডারদের বোঝাপড়ার অভাবে দ্বিতীয় গোল হজম করে তারা। ৯০ মিনিটে মুনিয়েরের ফ্রি-কিক থেকে হেডে দলকে সমতায় ফেরান ভিয়ালিব্রে (২-২)। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৪ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত তৃতীয় গোল তুলে নেয় অ্যাথলেতিক বিলবাও। ডানপায়ের দুরন্ত শটে জাল কাঁপান উইলিয়ামস (৩-২)। এই গোল শোধ করতে পারেনি কোম্যানের দল। বরং শেষ লগ্নে মেসি লাল কার্ড দেখায় ফিরে আসার শেষ আশাও ম্লান হয়। এই লাল কার্ডের জেরে ১২ ম্যাচ পর্যন্ত নির্বাসিত হতে পারেন মেসি। তবে তা নির্ভর করছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির উপর।