রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ড্র’য়ের সরণী থেকে বের হতে পারল না এসসি ইস্ট বেঙ্গল। সোমবার চেন্নাইয়ান এফসি’র বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচের ফল গোলশূন্য। চলতি আইএসএলে এটি ষষ্ঠ ড্র ফাউলার-ব্রিগেডের। ৩১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অজয় ছেত্রী। ৬০ মিনিটের বেশি সময় একজন কম নিয়েও এক পয়েন্ট পেয়ে কোচ ফাউলার খুশি হতে পারেন। ক্লাব অন্ত প্রাণ সদস্য-সমর্থকরা নয়। এবার আইএসএলে কার্ড দেখাটা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করছেন লাল-হলুদ ফুটবলার। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ফুটবলারদের উপর কি আদৌ নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন ফাউলার? এই ড্র’য়ের ফলে ১২ ম্যাচে ১২ পয়ন্টে নিয়ে লিগ টেবিলের নবম স্থানেই রইল ইস্ট বেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাইয়ান ষষ্ঠ স্থানে।
সমালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে চার ডিফেন্ডারে দল সাজিয়েছিলেন রবি ফাউলার। রাজু গায়কোয়াড় চোট পাওয়ার পর গত ম্যাচেই রক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ঘনীভূত হয়েছিল। কেরলের বিরুদ্ধে বারবার চাপের মুখে পড়তে দেখা দিয়েছিল ফক্স, নেভিলদের। তাই চেন্নাইয়ের উইং নির্ভর আক্রমণকে বিফলে ঠেলে দিতে চার ডিফেন্ডারের পাশাপাশি জোড়া ডিফেন্সিভ ব্লকার খেলান ফাউলার। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে পিলকিংটনকে সিঙ্গল স্ট্রাইকারে ব্যবহার করেন লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ।
প্রথম লেগে এই দুই দলের খেলা শেষ হয়েছিল ২-২ ফলে। সেবার ম্যাচে দু’বার পিছিয়ে পড়েও এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল। সোমবারও দু’দলই শুরু থেকে ঝুঁকিহীন ফুটবল খেলতে থাকে। ২২ মিনিটে সাবিয়ার ফ্রি-কিক থেকে সিপোভিচের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩১ মিনিটে অহেতুক অনিরুদ্ধ থাপাকে ফাউল করে ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অজয় ছেত্রী। উল্লেখ্য, ৯ মিনিট আগেই প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখেছিলেন বেঙ্গালুরু থেকে আসা এই তরুণ ফুটবলারটি। আনুপাতিক সংখ্যাগরিষ্ঠায় পিছিয়ে পড়তেই আল্ট্রা ডিফেন্সিভ মোডে চলে যেতে বাধ্য হয় ইস্ট বেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জাকুব সিলভেস্টারকে নামিয়ে আক্রমণে চাপ বাড়ান চেন্নাই কোচ সিসাবা লাজলো। তবে একজন কম নিয়েও ইতিবাচক ফুটবল খেলার চেষ্টা করেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। বল দখলের লড়াইয়ে টেক্কা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি-আক্রমণে চেন্নাই রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকেন ব্রাইটরা। ৫১ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলার সুযোগ পেয়েছিলেন পিলকিংটন। তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ৬১ মিনিটে তাঁর গোলমুখী শট রুখে দেন চেন্নাই গোলরক্ষক বিশাল কেইথ।
এদিন ম্যাচে অন্তত বার পাঁচেক ব্রাইটকে ফাউল করেন চেন্নাই ফুটবলাররা। বারবার আঘাতের পরেও খেলা চালিয়ে যান তিনি। শেষ লগ্নে তাঁর পরিবর্তে অ্যারনকে নামিয়ে শেষ চেষ্টা চালান ফাউলার। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্বে একাধিক সেভ করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন দেবজিৎ মজুমদার।
এসসি ইস্ট বেঙ্গল: দেবজিৎ, অঙ্কিত, নেভিল, ফক্স, নারায়ণ, মিলন, অজয়, সুরচন্দ্র, মাঘোমা, ব্রাইট (অ্যারন), পিলকিংটন।