পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আসলে ভারতের তরুণ ডানহাতি পেসারটি চেয়েছিলেন এমন একটা ইনিংস খেলতে, যা অজি সমর্থকদেরও মন জয় করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সফর শুরুর মুখে রবি শাস্ত্রীই প্রেরণার রসদটা জুগিয়েছিলেন শার্দূলকে। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ তাঁকে বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যদি তুমি ভালো খেলতে পার, তাহলে পুরস্কার পাবেই।’ শাস্ত্রীর সেই মন্ত্রেই ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাজিমাত করেছেন শার্দূল। ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে গড়ে তুলেছে ১২৩ রানের জুটি। দিনের পর শার্দূল বলেছেন, ‘ক্রিজে যখন ব্যাট করতে নামি, তখন দলের অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকরা ভেবেছিল আমাদের অলআউট করতে আর বেশি সময় লাগবে না কামিন্স, স্টার্কদের। এমন পরিস্থিতিতে কোচ রবি শাস্ত্রীর বলা কথাগুলি মনে পড়ছিল। তিনি বলেছিলেন, এই সফরে ভালো খেললে তুমি পুরস্কার পাবে। সেই মন্ত্রকে সম্বল করেই ব্যাট করছিলাম। দারুণ খেলছিল ওয়াশিংটনও। ওর সঙ্গে জুটি গড়ে দলের স্কোর যথাসম্ভব এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। আমাদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।’
ছোটবেলা থেকেই পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন শার্দূল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে হ্যারিস শিল্ডের একটি ম্যাচে স্কুল দলের হয়ে এক ওভারে ছ’টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাঁর ছোটবেলার কোচ সিদ্ধেশ লাড সম্প্রতি শার্দূলকে বলেছিলেন, ‘শুধু ভালো বোলিং করলেই চলবে না। জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে গেলে ব্যাট হাতেও সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। নিশ্চয়ই, হ্যারিস শিল্ডে এক ওভারে ছ’টি ছক্কার কথা ভুলে যাওনি! আমার বিশ্বাস, তুমি সফল বোলার-অলরাউন্ডার হয়ে উঠবে।’ গাব্বায় নিজের ব্যাটিং সম্পর্কে শার্দূল বলেছেন, ‘নেটে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও নিয়মিত অল্পবিস্তর সময় দিয়ে থাকি। তার সুফল আজ পেলাম। ক্রিজে এসে কিছুটা সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। জানতাম, সেট হতে পারলে বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা আমার রয়েছে।’