বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনা পরবর্তী পর্বে প্রথম বিদেশ সফরে ভারতীয় দলকে যেভাবে চোট-আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগতে হয়েছে, তা সত্যিই নজিরবিহীন। ১৯৩২ সাল থেকে বিদেশ সফর করছে ভারতীয় দল। কখনও এক সঙ্গে এতজন ক্রিকেটার চোট পাননি। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ফিজিও নীতিন প্যাটেলের ভূমিকা নিয়ে। ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত ব্যর্থ ভারতীয় দল। প্রশ্নের মুখে জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরাও। কারণ দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের ফিটনেস রিপোর্টের সঠিক যাচাই হয়েছিল কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছে ক্রিকেট মহল।
অথচ ক্রিকেটারদের ফিটনেস লেভেল বাড়ানোর জন্য ফিজিও নীতিন প্যাটেলের সঙ্গে যোগেশ পারমার, নিক ওয়েব, শাম দেশাইয়ের মতো স্ট্রেংথ ট্রেনার রেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু তার কোনও সুফল পাচ্ছে না দল। সামি, বুমরাহ, জাদেজাদের চোট একটু ভিন্ন ধরনের। কিন্তু হনুমা বিহারির হ্যামস্ট্রিংয়ে, সাইনির কুঁচকিতে এবং উমেশের কাফ মাসলের চোট নিয়ে কোনও ব্যখ্যাই যথেষ্ট নয়। এতে ফিটনেসের অভাবই স্পষ্ট।
প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলকেও এই সিরিজে চোট সমস্যায় ভুগতে হয়েছে। তবে ভারতের মতো নয়। অজিদের ফিটনেস ম্যানেজমেন্ট এতটাই ভালো যে, হ্যাজলউড (৯৮ ওভার), কামিন্স (১১১.১ ওভার), স্টার্ক (৯৮ ওভার), লিয়ঁ (১২৮) হাত ঘুরিয়েও ক্লান্ত হননি। তাঁরা চারজনে মিলে মোট ৪৩৫.১ ওভার বল করেছেন। ভারতের ক্ষেত্রে রবিচন্দ্রন অশ্বিন সর্বাধিক ১৩৪.১ ওভার, বুমরাহ ১১৭.৪ ওভার, জাদেজা ৩৭.৩ ওভার, উমেশ ৩৯.৪ ওভার, সাইনি ৩৬.৫ ওভার, সামি ৮৬ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। প্রত্যেকেই ধাপে ধাপে দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। যার ফলে দুর্বল হয়েছে ভারতের বোলিং। প্রথম টেস্টে পযুর্দস্ত হওয়ার পর রাহানের নেতৃত্বে যেভাবে টিম ইন্ডিয়া ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই তারিফযোগ্য। পুরো শক্তি থাকলে হয়তো এবারও দাপটের সঙ্গেই সিরিজ জিততে পারত টিম ইন্ডিয়া।
ব্রিসবেনে চতুর্থ টেস্টে দুই দলই সিরিজ জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে। শেষ হাসি কারা হাসবে, তা সময় বলবে। তবে ফল যেমনই হোক না কেন, ভারতীয় দলের এতজন ক্রিকেটারের এক সঙ্গে চোট পাওয়ার ঘটনায় বেশ বিব্রত সৌরভ গাঙ্গুলির বিসিসিআই। সামনেই দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লম্বা সিরিজ। তার আগে হয়তো ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে বিসিসিআই রিপোর্ট চাইতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।