কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গ্রাম বাংলার খেলাধুলোয় উৎসাহ দিতে ২০১৮ সালে নদীয়া জেলা পুলিসের উদ্যোগে কৃষ্ণনগরে জেলা স্টেডিয়ামে ‘জলতরঙ্গ’ ক্রীড়া উৎসবে অন্যান্য খেলার সঙ্গে মহিলা ফুটবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফুটবল ফাইনালে বাদকুল্লা মহিলা কোচিং ক্লাবের কাছে নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির মহিলারা হেরে গিয়েছিলেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই ক্রীড়া উৎসবে ফাইনালে ওঠা দু’টি দলকে সিভিক ভলান্টিয়ারে চাকরি দেওয়া হবে। রানার্স হওয়া নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির মেয়েরা প্রতিশ্রুতি মতো সেই চাকরি পেয়েছেন। এতে খুশি ওই খেলোয়াড়দের পরিবার। চরম আর্থিক কষ্টের মধ্যেও একরাশ স্বপ্ন নিয়ে নবদ্বীপ অ্যাথলেটিক মাঠে ফুটবল অনুশীলন করতেন এই দলের মেয়েরা। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অদম্য ইচ্ছে আর মনের জোর নিয়েই খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। নবদ্বীপ ব্লকের চরব্রহ্মনগরের সোনালী দেবনাথ, মেঘাশ্রী দেবনাথ, ইন্দ্রাণী দেবনাথ, শ্রাবন্তী দেবনাথ, মাজদিয়ার দীপিকা হালদার, সাবিত্রী শর্মা এবং নবদ্বীপ পুর এলাকার পায়েল ঘোষ, দুর্গা দাস, কেয়া দেবনাথদের মতো ফুটবলাররা ওই দলে ছিলেন।
জন্ম থেকেই বাবাকে দেখেননি দুর্গা। বাবা নিখোঁজ। বাড়িতে মা, বোন। পরের দোকানে কাজ করে সংসারের অভাবের সঙ্গে লড়াই করেন দুর্গা। কেয়া এবং মেঘাশ্রীর দু’জনের বাবার ছোট একটি চায়ের দোকান রয়েছে। সোনালীর বাবা কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেনে হকারি করেন, দীপিকার বাবা তাঁত শ্রমিক, ইন্দ্রাণীর বাবা প্যান্ডেল শিল্পী। পায়েল আর শ্রাবন্তীদেরও সংসার চলে কোনওরকমে। সোনালীর বাবা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, আমি ট্রেনে হকারি করি। তাতে ঠিকমতো সংসার চলে না। মেয়ের এই কাজ হলে সংসারের অভাব দূর হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব। সোনালীর মা কানন দেবনাথ বলেন, আমাদের এলাকায় আরও বহু ছেলে মেয়ে খেলাধুলো করে। ওরাও এতে উৎসাহিত হবে। নবদ্বীপ পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, ওই দলের মেয়েরা প্রত্যেকে খুবই দুঃস্থ পরিবার থেকে উঠে এসেছে। ওদের কাজের প্রয়োজন ছিল।