কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
(রয় কৃষ্ণা)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ম্যাচের ভাগ্য তখন ড্রয়ের দিকে হেলে পড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের সংযোজিত সময়ে (৯৫ মিনিট) মাঝমাঠ থেকে কার্ল ম্যাকহ্যাগের বাঁ পায়ের কার্লিং ফ্রি-কিক স্টপার সন্দেশ ঝিংগান হেডে প্যারালাল ফ্লিক করেন। প্রথম পোস্টের সামনে হলেও দুরূহ কোণ থেকে নিখুঁত হেডে তা জালে জড়ান রয় কৃষ্ণা (১-০)। এই গোল নিঃসন্দেহে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিল সবুজ-মেরুন শিবিরে। আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেল এটিকে মোহন বাগান। তিনটি ম্যাচেই স্কোরশিটে নাম তুলেছেন রয় কৃষ্ণা। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ শীর্ষে হাবাসের দল।
গোলের জন্য দু’দলই এদিন অতিরিক্ত ঝুঁকি নিতে চায়নি। এটিকে মোহন বাগান কোচ হাবাসের ফুটবল দর্শন মিলে যায় ওড়িশা এফসি’র প্রশিক্ষক স্টুয়ার্ট বাক্সটারের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার মারগাওয়ের ফাতোরদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টিপিক্যাল ডিফেন্সিভ ফুটবলে মেতে ওঠে উভয় পক্ষই। সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ ৩-৫-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন। ফিক্সড স্টপার হিসেবে তিরি ও সন্দেশ ঝিংগান কড়া মার্কিং ও ট্যাকেলে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওড়িশার দুই গোলগেটার মরিসিও এবং মার্সেলিনহোকে। আপফ্রন্টে রয় কৃষ্ণার পাশে মনবীর সিংকে খেলান কোচ হাবাস। সবুজ-মেরুনের জোড়া ফলাকে জোনাল মার্কিংয়ে রাখলেন ওড়িশার দুই স্টপার জ্যাকব ট্রাট ও স্টিভেন টেলর। রয় কৃষ্ণার ফিজিক্যাল ফুটবলের যোগ্য জবাব দিলেন ওড়িশার দুই স্টপার।
ম্যাচের বয়স আধঘণ্টা পেরলে স্ট্র্যাটেজি বদলান ওড়িশা কোচ। এই পর্বে দুই স্টপারকে কিছুটা উপরে উঠে আসার নির্দেশ দেন তিনি। ৩৫ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ওড়িশা। ডানদিক থেকে উড়ে আসা সেন্টার গোল মুখ ওপেন পেয়েও বাইরে হেড করেন জ্যাকব ট্রাট। বিরতির দু’মিনিট আগে মার্সেলিনহোর সেন্টার থেকে ছ’গজের বক্সের উপরে দাঁড়িয়ে বাইরে হেড করেন স্টিভেন টেলর। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের হৃদপিণ্ড তাদের মাঝমাঠ। তবে আক্রমণে প্রবীররা সেভাবে আপফ্রন্টকে সাহায্য করতে পারেননি। বিশেষ করে বাগানের উইং প্লে কার্যকর হয়নি। বিরতির ঠিক আগে লেফট চ্যানেল দিয়ে শুভাশিস বসুর ফ্লোটারে মাথা ছোঁয়ান কৃষ্ণা। যা ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
বিরতির পর আক্রমণে চাপ বাড়ায় ওড়িশা এফসি। ৬০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে টপকে নন্দ কুমার শেখরের নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৬ মিনিটে আক্রমণে গতি বাড়াতে জোড়া পরিবর্তন করেন হাবাস। জয়েশ রানে ও মনবীর সিংয়ের জায়গায় তিনি নামান যথাক্রমে ব্র্যাড ইনম্যান ও গ্ল্যান মার্টিন্সকে।
এটিকে মোহন বাগান: অরিন্দম ভট্টাচার্য, প্রীতম কোটাল, তিরি, সন্দেশ ঝিংগান, প্রবীর দাস, জাভি হার্নান্ডেজ (শেখ সাহিল), কার্ল ম্যাকহাগ, জয়েশ রানে (ব্র্যাড ইনম্যান), শুভাশিস বসু, মনবীর সিং (গ্ল্যান মার্টিন্স) ও রয় কৃষ্ণা।