ক্যানবেরা: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি একদিনের ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি শ্রেয়াস আয়ার। চার নম্বরে ব্যাটিং করা ভারতের এই ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলেছে অস্ট্রেলিয়ার ‘শর্ট বল স্ট্র্যাটেজি।’ প্রথম ম্যাচে শ্রেয়াস করেছেন মাত্র ২ রান। পরের ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ বলে ৩৮ রান। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য তৈরি ভারতীয় ব্যাটসম্যানটি। এই প্রসঙ্গে শ্রেয়াস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার এই বোলিং স্ট্র্যাটেজিতে আমার উপকারই হয়েছে। তারা আমাকে নিয়ে ভাবছে। যা সত্যিই ইতিবাচক দিক। বিপক্ষের স্ট্র্যাটেজির পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। এমন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ফিল্ড প্লেসিংয়ের ফাঁক খুঁজে কীভাবে রান আদায় করে নেওয়া যায়, সেটা নিয়েও হোমওয়ার্ক চলছে। মানসিকভাবে তৈরি হওয়াই আসল কথা। তৃতীয় একদিনের ম্যাচ খেলতে নামার আগে নেট প্র্যাকটিসে শর্ট বল নক করার দিকে বেশি জোর দিয়েছি। শর্ট বল খেলার ক্ষেত্রে শট নির্বাচন ঠিকঠাক হচ্ছে না। প্রথম ম্যাচে সেটা ঠারেঠোরে বুঝেছি। আমার সেইসময় দু’রকম ভাবনা কাজ করছে। নিজেকে প্রশ্ন করছি, পুল করব, না আপার কাট মারব? এমন পরিস্থিতিতে দু’রকম ভাবনা কাজ করলে মুশকিল। দ্বিতীয় ম্যাচে আমার সেই জড়তা অনেকটাই কেটেছে।’
সুইচ হিট বন্ধ করার দাবি ইয়ান চ্যাপেলের: সুইচ হিট শট। আধুনিক ক্রিকেটে যা খুবই জনপ্রিয়। তাই বোলারদের কথা ভেবে এই শট নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। ভারত-অস্ট্রেলিয়া চলতি ওয়ান ডে সিরিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ডেভিড ওয়ার্নাররা এই ধরনের শট খেলে অনেক রান পেয়েছেন। সাধারণত দেখা যায়, বোলার ডেলিভারি রিলিজ করার আগে ব্যাটসম্যান কৌশল বদলে ফেলেন। একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আচমকাই ডানহাতি হয়ে যান। আবার উল্টোটাও ঘটে। ফলে বোলারের পরিকল্পনা সহজে ভেস্তে যায়।