বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লা লিগায় ধারাবাহিকভাবে ভালো খেললেও ইউরোপ সেরার যুদ্ধে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে ব্যর্থ আতলেতিকো মাদ্রিদ। তবে কোচ ডিয়েগো সিমোনের আশা, ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াবে তাঁর দল। তবে আর্জেন্তাইন কোচের বক্তব্যে আবেগের আধিক্যই বেশি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মঙ্গলবার বায়ার্ন হারলে তা অঘটন হিসেবেই চিহ্নিত হবে। উল্লেখ্য, চোট-আঘাতের জন্য মানু স্যাঞ্চেজ, ডিয়েগো কস্তা, ভ্রালকোর সার্ভিস পাবে না আতলেতিকো। করোনা সারলেও এখনও দুর্বলতা রয়েছে উরুগুয়ান তারকা লুই সুয়ারেজের। তিনিও এই ম্যাচে চূড়ান্ত অনিশ্চিত। পক্ষান্তরে, নক-আউটে পৌঁছলেও আতলেতিকো বিরুদ্ধে দল নিয়ে তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটতে রাজি নন বায়ার্ন কোচ হান্স ফ্লিক। জয়ের ধারা বজায় রাখাই তাঁর লক্ষ্য। জোসুয়া কিমিচের চোট থাকলেও জার্মান ক্লাবটিকে স্বস্তি দিচ্ছে সুল ও টোলিসোর সুস্থ হয়ে ওঠা। অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে বায়ার্ন। উল্টোদিকে, রক্ষণ সংগঠিত রেখে প্রতি-আক্রমণে গোল তুলে নিতে চাইবে আতলেতিকো।
মঙ্গলবার গ্রুপ-বি’র ম্যাচে শাখতার ডোনেস্কের (৪ পয়েন্ট) চ্যালেঞ্জ সামলাবে রিয়াল মাদ্রিদ (৭ পয়েন্ট)। ঘরের মাঠে জিদানের দলকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল ইউক্রেনের ক্লাবটি। অ্যাওয়ে ম্যাচে তার বদলা কি নিতে পারবেন ভিনিসিয়াস-বেনজেমারা? শাখতারকে হারালে নক-আউট পর্ব কার্যত নিশ্চিত করে ফেলবে রিয়াল। এদিন জিদান বলেছেন, ‘লা লিগায় আলাভেসের কাছে হারের ধাক্কা ছেলেরা সামলে উঠেছে। চোট সারিয়ে বেনজেমা ফেরায় ভারসাম্য বেড়েছে আপফ্রন্টে। তবে শাখতার যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ওদের গুরুত্ব দিতেই হবে। পেশির চোটের কারণে হ্যাজার্ড অনিশ্চিত। রক্ষণ অটুট রাখতে পারলে মঙ্গলবার তিন পয়েন্ট পেতে সুবিধা হবে।’
পেপ গুয়ার্দিওলার প্রশিক্ষণাধীন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ইতিমধ্যেই নক-আউট পর্বে উন্নীত হয়েছে। প্রথম ৪টি ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। মঙ্গলবার অ্যাওয়ে ম্যাচে তারা খেলবে পোর্তোর (৯ পয়েন্ট) বিরুদ্ধে। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে গ্রুপ-সি’ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে পর্তুগালের ক্লাবটিই রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছবে। প্রিমিয়ার লিগের গত ম্যাচে বার্নলেকে ৫-০ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর কেভিন ডি ব্রুইন-রহিম স্টার্লিংরা।
গ্রুপ-ডি’র ম্যাচে লিভারপুলের চ্যালেঞ্জ সামলাবে আয়াখস। প্রতিযোগিতার প্রথম ৪টি ম্যাচে জুরগেন ক্লপের দল ৯ পয়েন্ট পেয়েছে। সমসংখ্যক ম্যাচে ডাচ ক্লাবটির সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। প্রথম পর্বের ম্যাচে টাগলিয়াফিকোর আত্মঘাতী গোলে জিতেছিল লিভারপুল। ঘরের মাঠে ক্লপ-ব্রিগেডকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে তৈরি আয়াখস।