নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আটের দশকের শেষ দিকে ডুরান্ড কাপে খেলা দেখে পাঞ্জাব স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (পিএসইবি) থেকে যশপাল-মদনলালকে নিয়ে এসেছিল ইস্ট বেঙ্গল। অনেক চেষ্টা করেও ওই বছর তারা আনতে পারেনি কুলদীপ সিংকে। শুক্রবার ডার্বিতে দর্শনীয় গোল করা এটিকে মোহন বাগানের মনবীর সিং হলেন সেই কুলদীপের পুত্র। শুক্রবার রাতে গোয়ার ডিনার টেবিলে জয়ের অন্যতম নায়ককে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান সতীর্থ রয় কৃষ্ণা আর কোচ হাবাস। তবে উচ্ছ্বাসে গা ভাসাতে রাজি নন ‘পাঞ্জাব কা পুত্তর’। তিনি বলেছেন,‘বাবার জন্যই এই জায়গায় আসতে পেরেছি। উনিই আমাকে ছেলেবেলা থেকে ফুটবলে উৎসাহিত করেছেন। বাবাই আমার প্রথম কোচ। শুক্রবার রাতে যখন টিম বাসে করে স্টেডিয়াম থেকে রিসর্টে ফিরছিলাম তখন  ওঁর ফোন এসেছিল।’ 
ফুটবলের প্রতি ছেলের আগ্রহ দেখে কুলদীপ সিং তাঁকে মিনার্ভা পাঞ্জাব অ্যাকাডেমিতে পাঠান। ২০১৬-১৭ মরশুমে পুত্রকে মহমেডান স্পোর্টিংয়ে পাঠান অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। ওই মরশুমে কলকাতা লিগে মনবীর কলকাতার বড় ক্লাবের হয়ে নজর কাড়েন। সেবার গোয়ায় সন্তোষ ট্রফিতে বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করাতে মনবীরের বড় ভূমিকা ছিল। সিনিয়র জাতীয় ফুটবলে তাঁর খেলা দেখে দলে নেয় এফসি গোয়া। মনবীরের গোয়া পর্ব খুব ভালো কাটেনি। তিন মরশুমে ৪৭টি ম্যাচে করেছিলেন মাত্র তিনটি গোল। গত মরশুমে আইএসএলে গ্রুপ লিগের ম্যাচে তাঁর খেলা চোখে পড়েছিল হাবাসের। স্ট্রাইকার বলবন্ত সিংকে ছেড়ে তঁাকে দলে নিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। হাবাসের আস্থার প্রতি মর্যাদা রেখে তাই তৃপ্ত মনবীর। 
কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে পরিবর্ত হিসেবে নেমে মনবীরের পাস থেকে রয় কৃষ্ণা জয়সূচক গোল করেছিলেন। আর শুক্রবার রাতে প্রবীর দাসের পাস ধরে দুরন্ত লক্ষ্যভেদ তাঁর। এটিকে মোহন বাগানের সেরা খেলোয়াড় রয় কৃষ্ণা ক্লাবের মিডিয়া বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,‘মনবীরের গোলটি বিশ্বসেরা। নিখুঁত নিশানায় বল রেখেছে। ওকে কুর্নিশ। ডার্বি জেতায় আত্মবিশ্বাস বাড়ল। গত মরশুমের পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য।’ এদিকে, ডার্বির উপহার হিসেবে সমর্থকদের জন্য মোবাইল অ্যাপ আনল এটিকে মোহন বাগান।