গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এফএসডিএল প্রথম ম্যাচটাই দিয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন হাবাসের দলের বিরুদ্ধে। ম্যাচটি আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ। তাই মর্যদার লড়াই আলাদা মাত্রা পেয়েছিল। আইএসএলে পাঁচ বিদেশি খেলানো যায়। তাই প্রথম পর্বে ভালো স্ট্রাইকার নেওয়া উচিত ছিল তাঁর। বদলে নিজের পুরানো দল থেকে অ্যারনকে সই করালেন। এখন তো তাকে লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে! গত দুই মরশুম অ্যারন মোটেই ছন্দে ছিল না। তাঁকে কেন নেওয়া হল?
ইস্ট বেঙ্গলের এই দলের বাকি বিদেশিদের মধ্যে একমাত্র চোখ টানল পিলকিংটন। তবে ভারতীয় ফুটবলে ছাপ রাখতে গেলে ওকে আরও গতিময় ফুটবল খেলতে হবে। দুই ডিপ ডিফেন্ডার ড্যানি ফক্স আর স্কট নেভিলকে দেখে তো আঁতকে উঠতে হল। দু’জনেই আনফিট! রক্ষণে বোঝাপড়া গড়তে কিছু ম্যাচ প্রয়োজন। কিন্তু প্রায় চার সপ্তাহ অনুশীলন করার পরেও দলের ফিটনেস লেভেল এত খারাপ কেন? লে- অফের পর ফিটনেস ফিরে পেতে তিন সপ্তাহ যথেষ্ট। এর জন্যই ৭০ মিনিটের পর ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল লাল- হলুদ। প্রথমার্ধে ইস্ট বেঙ্গল খারাপ খেলেনি। কিন্তু সেভাবে পেনিট্রেট করতে পারল না। বিরতির পর রয় কৃষ্ণা গোল করে। তারপর তা পরিশোধের জন্য ইস্ট বেঙ্গলের ফুটবলারদের মরিয়া হতে দেখলাম না। শেষ পর্বে কাছা খুলে আক্রমণে যেতে গিয়ে দ্বিতীয় গোল হজম ফাউলারের দলের। বক্সের মধ্যে মনবীরকে ইনসাইড ডজ করার জায়গা দেওয়াই উচিত হয়নি।
এই সব কারণে আমার মনে হচ্ছে, কিংবদন্তি ফুটবলার হলেও রবি ফাউলার বুঝতে পারেননি কলকাতা ডার্বির গুরুত্ব। নারায়ণ দাস-রানা ঘরামিকে প্রথম একাদশে উনি রাখলেন। যা সম্পূর্ণ অর্থহীন। দলের স্বদেশি ব্রিগেডের মান খুব ভালো নয়। তবুও মে-জুন মাসে ইস্ট বেঙ্গলের সাবেক কর্তারা বেশ কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলার রিক্রুট করে রেখেছিলেন। রিনো অ্যানটাও, গুরতেজ সিং, বিনীথদের কাজে লাগাতে পারতেন ফাউলার। দ্রুত ভুলত্রুটি শুধরে নিতে না পারলে আগামী দিনে সমস্যা বাড়বে ইস্ট বেঙ্গলের।