কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ছোটবেলা থেকেই আমি মোহন বাগান সমর্থক। তখন মোহন বাগানের খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ধুম জ্বর চলে আসত। জিতলে জ্বর হাওয়া। মায়ের সিল্কের শাড়ি কেটে মোহন বাগানের পতাকা বানিয়েছিলাম। প্রচুর মারও খেতে হয়েছিল। মোহন বাগান মাঠেই দেখেছিলাম প্রথম খেলা। ভ্রাতৃ সংঘের বিরুদ্ধে। সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রসূন ব্যানার্জিরা ছিলেন টিমে। তারপর কয়েকবার ডার্বিও দেখেছি। মোহন বাগান অন্ত প্রাণ ছিলাম। জোড়াবাগান থেকে সাইকেল চালিয়ে পৌঁছাতাম সল্টলেক স্টেডিয়ামে। দল জিতলে বুক ফুলিয়ে হই হট্টগোল করতে করতে পাড়ায় ফেরা। আর হারলে চুপিসারে গ্যারেজ হওয়াটাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। তারপর চাকরি এবং আরও পরে গানবাজনার জগতে এসে খেলার জগৎকে ভুলতে বাধ্য হয়েছি। এখন তো পুরো খেলা দেখাও হয় না। স্কোর দেখেই আনন্দ-দুঃখ পাই। তবে আজ যদি সন্ধের পর কাজ না থাকে খেলাটা দেখব।
ভারতীয় ফুটবলে বদল এনেছে আইএসএল। শুনছি, কেউ সিমেন্ট কিনছে, কেউ বালি। তবে আমার তাতে আপত্তি নেই। ভারতীয় ফুটবলকে যদি বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে পৌঁছতে হয় তবে প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। আর সেটা না থাকলে পরিকাঠামোর উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই ধরনের টুর্নামেন্টের ফলে আর্থ সামাজিক দিকে একটা নাড়াচাড়া তো হচ্ছে। আপত্তি কোথায়! বিস্ফোরণটা তো আর দুম করে হয় না, তার আগে দীর্ঘ দিন ধরে সুঁতলি পাকাতে হয়। তাই যাঁরা এটিকে মোহন বাগান এবং শ্রী সিমেন্ট ইস্ট বেঙ্গল নিয়ে গাল পাড়ছেন তাঁদের দলে আমি নেই। এই দুটো দল যেভাবেই খেলুক না কেন, বাঙালি ঠিক দেখবে। করোনার কারণে গোয়ার দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হবে বলেও নাকি হা হুতাশ চলছে। কিন্তু এছাড়া উপায় কোথায়! এই অবস্থায় তো আর আবেগের দোহাই দিয়ে স্টেডিয়াম ভর্তি করা যায় না। তাও তো ওরা খেলতে পারছে। আমরা তো তাও পারছি না। দর্শকশূন্য মঞ্চে তো আর গানবাজনা করতে পারি না।
একটা ফুট কেটে বরং লেখাটা শেষ করি। ছোট থেকে দেখছি লাল-হলুদ সমর্থকরা গলার শিরা ফুলিয়ে ‘আমরা জার্মান, আমরা জার্মান’ বলে চেল্লায়। সেদিন দেখলাম স্পেনের কাছে জার্মানি ছয় গোলে হেরেছে। হেব্বি আনন্দ পেয়েছি। ডার্বিতেও একই রেজাল্ট এক্সপেক্ট করছি।