বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো, ডার্বি নিয়ে এখন সেই উত্তেজনা অনুভব করি না। প্রশ্ন করবেন, কেন? তার উত্তর আমার কাছেও নেই। হয়তো পারিপার্শ্বিক চাপে আগ্রহ কমে গিয়েছে। কিন্তু সমর্থক সত্তা কি লুকানো যায়? আমি হার্ডকোর ইস্ট বেঙ্গল সমর্থক। বাবা পূর্ববঙ্গের মানুষ ছিলেন। সেই প্রভাব আমার উপরও পড়েছে।
আজ আইএসএলের ঐতিহাসিক ডার্বি দেখব কি না জানি না। আবার দেখতেও পারি। তবে মনেপ্রাণে চাইব, আমার প্রিয় দল জিতুক। আইএসএলের প্রথম ডার্বি জিতে ইতিহাসে স্থান করে নিক লাল-হলুদ। অনেকেই বলছেন, বর্তমানে ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগানের প্রতি বাঙালিদের সেই আবেগ নেই। দুই বড় দলের নামের আগে এসসি ও এটিকে দুটি শব্দ বসে যাওয়ায় আবেগ সরিয়ে কর্পোরেট ও পেশাদার মানসিকতা বেশি ফুটে উঠছে। পেশাদারদের কি আবেগ বলে কোনও বস্তু নেই? আসলে কী জানেন, এখন বাঙালিদের ঠিক বুঝতে পারি না। তবে মনে হয় না, এই হেভিওয়েট ম্যাচ ঘিরে আবেগ বিন্দুমাত্র কমবে।
এর আগে কলকাতার বাইরে অনেক বড় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে শুক্রবার গোয়াতে ডার্বি অনুষ্ঠিত হবে, এতে অবাক হচ্ছি না। তবে নতুনত্ব হল, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে এই মহাম্যাচ হবে। যাবতীয় পরিস্থিতি মাথায় রেখেই বলছি, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কোনও প্রেক্ষাগৃহে শ্রোতা না থাকলে গান গাইতে ভালো লাগে না। শ্রোতাই তো পেশাদার গায়কের অহঙ্কার ও অলঙ্কার। ফুটবল তো বিনোদন, তাকে দর্শক ছাড়া কেই বা যোগ্য সমাদর করবে?
এবার চুপিচুপি একটা সত্যি কথা বলে ফেলি। কলকাতা ফুটবলের সমঝদার হয়েও ডার্বি দেখতে কোনও দিন মাঠে যাওয়া হয়নি। তবে টেলিভিশনে ও রেডিওতে বড় দলের ম্যাচ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতাম। অজয় বসুর ধারাভাষ্য আমায় আকর্ষণ করত। কী স্পষ্ট উচ্চারণ, বিশ্লেষণও বটে। যা শুনে মনে হতো, যেন মাঠেই বসে রয়েছি। এভাবেই সুরজিৎ সেনগুপ্ত, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, মজিদ বাসকার, কৃশানু দে’কে ভালোবেসে ফেললাম।
বিগত কয়েক বছর ধরে দুই প্রধানের খবর সেভাবে রাখা হয় না। ভরসা শুধুই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। ফেসবুকে দু’দলের সমর্থকদের কাজিয়া কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়।