কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আসন্ন ডার্বিও তাঁর নজরের বাইরে নেই। বিজয়ন বলছেন, ‘এবার নতুন মোড়কে কলকাতার দুই প্রধান। তবে গর্বের ঐতিহ্যে কোনও আঁচ পড়েনি। এটিকে’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোহন বাগান। আর ইস্ট বেঙ্গলের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। দুই প্রধানই খেলবে চিরাচরিত সবুজ-মেরুন ও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে। দুই ক্লাবের প্রতীকও অপরিবর্তিত। বোঝাই যাচ্ছে, সদস্য-সমর্থকদের আবেগকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।’
বুটজোড়া তুলে রেখেছেন অনেক বছর আগেই। তবে স্মৃতির আলমারিতে এখনও সযত্নে তোলা রয়েছে ডার্বির অভিজ্ঞতা। প্রসঙ্গক্রমে বিজয়নের মন্তব্য, ‘বড় ম্যাচের স্মৃতি মুছে ফেলা সম্ভব নয়। অবসরের পর ১৫ বছর কেটে গিয়েছে। তবু ডার্বির রোম্যান্টিকতার উষ্ণ স্পর্শ পেতে ভালো লাগে। পুলিসের কাজের ঝক্কির মধ্যেও বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ আর মোহন-ইস্টের লড়াই মিস করি না। এবারও দেখব।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ‘শুক্রবারই তো আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের অভিষেক। প্রথম ম্যাচেই এটিকে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে খেলতে হবে রবি ফাউলারের দলকে। কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই ম্যাচটি পরে দিলে আরও আকর্ষক হতে পারত।’
একটানা কথা বলার পর থামলেন বিজয়ন। ডুব দিলেন স্মৃতির সরণীতে, ‘আমাদের সময়ে সল্টলেক স্টেডিয়ামের দর্শকাসন ছিল এক লক্ষেরও বেশি। নয়ের দশকের প্রথমে যখন কলকাতায় খেলতে এসেছিলাম তখন ফুটবলের বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। আমার পাশাপাশি তখন বড় দলে শরাফ আলি, জো পল আনেচেরি, শিশির ঘোষ, সত্যজিৎ চ্যাটার্জি, বাইচুং, চ্যাপম্যান, দীপেন্দু, চিমা, ক্রিস্টোফাররা খেলছে। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আগে সল্টলেক স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ হয়েছে। বসেছে বাকেট চেয়ার। দর্শক সংখ্যা কমে হয়েছে ৬৭ হাজার। তাই গত কয়েক বছর টিভিতে খেলা দেখার সময় মনে হয়, আমি কিংবা বাইচুং সত্যিই ভাগ্যবান! এক লাখ দর্শকের সামনে বড় ম্যাচ খেলার মোটিভেশনই আলাদা। ২০০১-০২ মরশুমে এফসি কোচিন থেকে প্রথমবার ইস্ট বেঙ্গলে খেলি। লাল-হলুদ জার্সি পরিহিত এই অধমকে দেখতে যুবভারতী ভরে উঠেছিল। সেই স্মৃতি ভুলিনি। এবার দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে খেলা। সমর্থকদের অনুপস্থিতিতে ফুটবলারদের চ্যালেঞ্জ অবশ্যই বাড়বে।’