পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এসসি ইস্ট বেঙ্গল ও এটিকে মোহন বাগানে গোলরক্ষকদের তালিকা দেখতে গিয়ে চোখ আটকে যাচ্ছে অরিন্দম ভট্টাচার্যের উপর। আমার মতোই উত্তর ২৪ পরগনা থেকে উঠে এসেছে ও। অরিন্দমের জন্যই দুর্গরক্ষার পরীক্ষায় হাবাস-ব্রিগেডকে এগিয়ে রাখব। গত মরশুমে ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে। ফিটনেস, পোস্ট টু পোস্ট কভারিং, অ্যান্টিসিপেশন বেশ ভালো। অফ-সিজনেও প্র্যাকটিস করার ফল অরিন্দম নিশ্চয়ই পাবে। সবচেয়ে বড় কথা, পিছন থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে সে।
লাল-হলুদ দুর্গ সামলাবে কে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই কোচ রবি ফাউলারের। তবে আমার মতে, বড় ম্যাচে দেবজিৎকেই পোস্টের নীচে দাঁড় করানো উচিত। এর আগে ইস্ট বেঙ্গলে ও এক বছর খেলেছে। সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি। তাই কেন শঙ্কর রায় নয়? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যেহেতু এই তরুণ গোলরক্ষক গতবার আই লিগ জয়ী মোহন বাগানের সদস্য ছিল। কিন্তু টেকনিক্যাল বিষয়টি আমার কাছে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। দেবজিতের ফিটনেস, গ্রিপিং শঙ্করের থেকে অনেক ভালো। দেবজিৎকে ম্যাচে ফোকাস ধরে রাখতে হবে। ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা তো ওর আছেই। গোলরক্ষকদের তুখোড় ফিটনেস অনেক দুর্বলতাই ঢেকে দিতে পারে। তবে যেহেতু ও প্রায় এক বছর কোনও ম্যাচ খেলেনি, তাই মির্শাদ কিংবা শঙ্করকে খেলালেও অবাক হব না। কারণ রফিক আলি সর্দার তো একেবারেই জুনিয়র। ওকে আরও সময় দিতে হবে।
এটিকে’র কোচ আন্তোনিও হাবাস গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের গোলরক্ষক অরিন্দমের উপরই যে ভরসা রাখবেন, বলাই বাহুল্য। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে নজরকাড়া ধীরাজ সিং কিংবা আরেক গোলরক্ষক অভিলাষ পাল আপাতত বাইরে থেকেই বড় ম্যাচের উত্তাপ নিক। কিন্তু ভাবছি, এবার আদৌ কি সেই চেনা বড় ম্যাচের উত্তাপ-উত্তেজনা রয়েছে? এমনিতে সাম্প্রতিককালে ডার্বির সংখ্যা কমে গিয়েছে। একটা সময় আমরা বছরে বেশ কয়েকটি বড় ম্যাচ খেলতাম। বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে বেশিরভাগ সময় দুই প্রধান মুখোমুখি হতো। এত স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছি যে জীবনের সেরা ডার্বি বাছাই করা আমার কম্ম নয়। কর্পোরেট মোড়কে ডার্বি মুড়ে যাওয়ায় এই মহাম্যাচের আদৌ কি আর প্রাণ রয়েছে? সেই আবেগ-অনুভূতি কোথায়? সবকিছু কেমন যেন যান্ত্রিক মনে হচ্ছে।