বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দেখতে দেখতে কত বছর কেটে গেল। এবার আইএসএলের প্রথম ডার্বি। যা দেখার জন্য তর সইছে না। ব্যস্ততার কারণে কতক্ষণ দেখতে পারব তা জানি না। চেষ্টা করব, মোবাইল বা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখতে। কোভিডের কারণে গোয়ায় আয়োজিত আইএসএল হচ্ছে ফাঁকা মাঠে। যা সিম্পলি ভাবতে পারছি না। যাবতীয় পরিস্থিতি মাথায় রেখেও বলছি, দুই প্রধানের সমর্থক ছাড়া কলকাতা ডার্বি অসম্পূর্ণ। এটা ঠিক যে, আমাদের সময় ঐতিহ্যের এই ম্যাচ ঘিরে উৎসাহ-উন্মাদনা অনেক বেশি ছিল। কলকাতায় অনেকদিন যাওয়া হয়নি। কিন্তু সমসাময়িক অনেক ফুটবলারদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। আলোচনায় ঘুরেফিরে আসে সেই ডার্বির কথা। এখন হয় তো ফুটবলাররা অনেক বেশি অর্থ পায়। কিন্তু সমর্থকদের ভালোবাসা প্রাপ্তিতে আমরাই এগিয়ে।
বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে মোহন বাগান-ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচ হোক না কেন, উৎসাহ-উন্মাদনা একই থাকবে। যদিও আইএসএল ডার্বির ঐতিহ্য-আবেগকে মুড়ে ফেলা হয়েছে কর্পোরেট মোড়কে। এই আসরে বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে খেলার ফলে লাভবান হচ্ছে ভারতীয়রাই। কারণ, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস, কোরোমিনাসদের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
অতীতে ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগানে খেলে অনেক পাঞ্জাবি ফুটবলার বিখ্যাত হয়েছেন। আমি চাই, শুক্রবারের ডার্বিতে পাঞ্জাবের কোনও ফুটবলার শিরোনামে উঠে আসুক। শুনেছি, মোহন বাগানে স্টপার সন্দেশ ঝিংগানের কথা। ও পাঞ্জাব কা পুত্তর। ইস্ট বেঙ্গলে রয়েছে বলবন্ত সিং। আমার মতোই সেও একজন স্ট্রাইকার। গোল করতে জানে। আশা করি, আইএসএলের প্রথম ডার্বি মনে রাখার মতো ম্যাচ হিসেবে শেষ হবে।