বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রায় একইরকম উপলদ্ধি কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এটিকে মোহন বাগানের অধিনায়কত্ব করা প্রীতম কোটালের। ১৩টি ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উইং ব্যাকটি বললেন, ‘ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে মোহন বাগানের খেলা দেখতে যেতাম। এবার সেই দলেরই অধিনায়কত্ব করলাম। দারুণ অনুভূতি। সন্দেশের কথা উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। প্রতিপক্ষ আমাদের কাছে অচেনাই বটে। তাই ইউ টিউবে পিলকিংটন, মাঘোমা, ম্যাটি স্টেইনম্যানদের খেলা দেখছি। দলের আপফ্রন্টের খেলোয়াড়রা ড্যানি ফক্স, স্কট নেভিলদের বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে। পরিকল্পনামাফিকই চলছে ডার্বির প্রস্তুতি। ভালো খেলেই মর্যাদার মহাম্যাচ জিততে চাই। আমাদের দলে বাঙালি ফুটবলারের সংখ্যা বেশি। বড় ম্যাচে এটা আমাদের অ্যাডভান্টেজ। এবার ডার্বির শতবর্ষ। এই ম্যাচের গুরুত্ব কিংবা তাৎপর্য বাঙালিরাই বেশি বোঝে। শতবর্ষের প্রথম বড় ম্যাচ জিততে আমরা বদ্ধপরিকর।’
পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত ডার্বিতে অপরাজিত শুভাশিস বসু। তবে সাকুল্যে তিনটি বড় খেলা এই বাঙালি ডিফেন্ডারটি জানালেন, ‘এরকম হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের শেষ ১০ মিনিট ক্লান্তি আসে। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক দেখে যা কেটে যায়। কিন্তু এবার সেই সম্ভাবনা নেই। এটাই আমাকে ভাবাচ্ছে। সামগ্রিক অভিজ্ঞতার কারণে ডার্বিতে আমরাই এগিয়ে।’
১৫ বছর সর্বভারতীয় সার্কিটে সুনামের সঙ্গে ফুটবল খেলছেন গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য। মোহন বাগানে এক বছর খেললেও বড় ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁর। তাই অরিন্দমের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে শুক্রবার। সোমবার তিনি বলেন, ‘কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচে ডিফেন্ডাররা ভালো খেলায় সেরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি।’ প্রণয় হালদার আর প্রবীর দাস মনে করেন, ‘অতীতে সঞ্জয় সেনের আমলে বড় ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞতা থাকায় চাপ নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। স্নায়ুর চাপে ভুগছি না।’
গত বছর ১৯ জানুয়ারি জীবনের প্রথম ডার্বিতে চোখ টেনেছিলেন শেখ সাহিল। প্রথম ম্যাচে জার্সি পাওয়া সাহিল বলছেন,‘ফোকাস ধরে রাখতে পারলে শুক্রবার তিন পয়েন্ট আসবেই।’