নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে সপ্তম আইএসএল অভিযান শুরু করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন এটিকে মোহন বাগান। যদিও এই জয় খুব মসৃণ ছিল না। ছন্নছাড়া ফুটবল খেললেও দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন রয় কৃষ্ণা। ম্যাচের শেষ আধ ঘণ্টায় গোল তুলে নেওয়া প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে হাবাস-ব্রিগেড। গত মরশুমেও আইএসএলের ১৮টি গ্রুপ লিগ সহ মোট ২১টি ম্যাচে খেলেছিল এটিকে। পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, ওই ২১টি ম্যাচের মধ্যে এটিকে গোল পেয়েছে ১৮টি ম্যাচে। এর মধ্যে ১৪ টি ম্যাচে এটিকে গোল পেয়েছে ৬০ মিনিটের পর। সেই পারফরম্যান্সের পুনারাবৃত্তি শুক্রবার ২০২০-২১’এর আইএসএলের উদ্ধোধনী ম্যাচেও দেখা গিয়েছে। ম্যাচের থার্ড কোয়ার্টারে গোল তুলে আনার এই অভ্যাসই চলতি প্রতিযোগিতায় সবুজ-মেরুন জার্সিধারীদের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। ম্যাচে পিছিয়ে থাকলে এই থার্ড কোয়ার্টারের শেষ ১০ মিনিট রয় কৃষ্ণারা আক্রমণে ঝড় তুলেছেন। তাই গত বছর আইএসএলে তিনটি ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও সংযোজিত সময়ে সমতায় ফিরেছে কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এছাড়া গুয়াহাটিতে আয়োজিত ম্যাচে সংযোজিত সময়ের শেষ লগ্নে বলবন্ত সিংয়ের লক্ষ্যভেদ দলকে তিনটি মূল্যবান পয়েন্ট এনে দিয়েছিল। গত মরশুমে তিনটি ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় হাবাসের দল। গত বছরের ৩০ নভেম্বর যুবভারতীতে মুম্বই সিটি এফ’সি বিরুদ্ধে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে সোসাইরাজের গোলে এগিয়ে যায় এটিকে। মুম্বইয়ের প্রতীক চৌধুরি ৬২ মিনিটে ১-১ করেন। ৯৩ মিনিটে মুম্বইকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন অ্যাবিউ। রয় কৃষ্ণা সমতা ফেরান ৯৬ মিনিটে। হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১-২ গোলে পিছিয়ে ছিল এটিকে। ৯০ মিনিটে রয় কৃষ্ণা চমৎকার গোল করে ২-২ করেন। গ্রুপ লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে ৩৫ মিনিটের মধ্যে দু’গোলে পিছিয়ে পড়ে এটিকে। শেষ চার মিনিটে দু’টি গোল করে সেমি-ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে এটিকে। উল্লেখ্য, চারটি ম্যাচে অন্তিম পর্বে বাজিমাত হাবাসের দলের নাছোড় মনোভাব ও লড়াকু মানসিকাতার পরিচায়ক। পাশাপাশি ফুটবলার পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও মুন্সিয়ানার পরিচয় রেখেছেন এটিকে মোহন বাগান কোচ। শুক্রবার রাতেও মনবীর মাঠে নামার পরেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। হাবাসের দল গত মরশুমে ২১টি ম্যাচের মধ্যে প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে গোল তুলেছিল মাত্র তিনটিতে। হোম ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিট গোল তুলে আনাটাও এটিকের স্ট্র্যাটেজি। গত মরশুমে যুবভারতীতে চেন্নাইয়ান, বিএফসি ও ওড়িশা এফসির এই পর্বে জাল কাঁপিয়েছিল তারা।
গত মরশুমে ২১টি ম্যাচের মধ্যে ১৪টি ম্যাচে শেষ ৩০ মিনিটে গোল পেয়েছে।
চারটি ম্যাচে ৮৫ মিনিট থেকে ৯৫ মিনিটের মধ্যে গোল করে বাজিমাত।
হোম ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম পাঁচ মিনিট আক্রমণের ঝড় তুলে গোল তুলে এনেছে হাবাস-ব্রিগেড।
প্রথম ১৫ মিনিট অতি সতর্কতার সঙ্গে ফুটবল খেলে থাকেন প্রীতম কোটাল-প্রবীর দাসরা। তাই গত মরশুমে ২১টি খেলায় প্রথম ১৫ মিনিটে গোল মাত্র দু’টি ম্যাচে।