পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য শেষ তিনটি ম্যাচে খেলতে পারেননি মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দিল্লির বিরুদ্ধেও খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি দলের তরফ থেকে। রোহিত না খেললে যথারীতি অধিনায়কের দায়িত্বভার সামলাবেন কিয়েরন পোলার্ড। ব্যাটে বলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে মুম্বই। ওপেনার কুইন্টন ডি’কক ও ঈশান কিষাণ দলকে ভরসা দিয়েছেন। তিন নম্বরে সূর্যকুমার যাদব আগের ম্যাচে দুরন্ত ৭৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই ক্রিকেটারের ব্যাট চলতে শুরু করলে মুশকিলে পড়বে দিল্লি। মিডল অর্ডারে সৌরভ তিওয়রি, হার্দিক পান্ডিয়া, ক্রুনাল পান্ডিয়া, পোলার্ডের মত ক্রিকেটার রয়েছেন। বোলিং বিভাগেও বাকি দলগুলির থেকে অনেকটাই এগিয়ে তারা। যশপ্রীত বুমরাহ ও ট্রেন্ট বোল্টের অভিজ্ঞতা মুম্বই দলের সম্পদ। এছাড়া জেমস প্যাটিনসন, রাহুল চাহারও ভালো বল করছেন।
অপরদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসে শিখর ধাওয়ান পরপর দুটি ম্যাচে শতরান করলেও ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ তিনি। পৃথ্বী সাউয়ের পরিবর্তে রাহানেকে সুযোগ দেওয়া হলেও তিনি তা কাজে লাগাতে পারছেন না। চোট কাটিয়ে ফেরা ঋষভ পন্থও চেনা ছন্দে নেই। একই অবস্থা অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারের। তিনিও ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ। মিডল অর্ডারে মার্কাস স্টোইনিস দু’একটি ম্যাচে ভালো খেললেও দলকে নিয়মিতভাবে ভরসা দিতে পারছেন না। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার শিমরন হেটমায়ারও বিন্দুমাত্র ফর্মে নেই। বোলিং বিভাগে অবশ্য দিল্লিকে প্রতি ম্যাচে নির্ভরতা জুগিয়ে চলেছেন কাগিসো রাবাডা ও অ্যানরিখ নর্টজে। ২৩টি উইকেট নিয়ে বেগুনি টুপির দৌড়ে শীর্ষে রয়েছেন রাবাডা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করছেন। তবু দিল্লির শেষ তিন ম্যাচে ব্যর্থতার প্রধান কারণ তাদের ব্যাটিং বিপর্যয়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জিতেই তা পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া শ্রেয়াসরা।