কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিরাট কোহলির টিমের বিরুদ্ধে এটা ছিল নাইটদের বদলার ম্যাচ। কারণ, প্রথম সাক্ষাতে ডি’ভিলিয়ার্স ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু বদলার ম্যাচে টগবগে মেজাজ তো দূরে থাক, কার্যত বেড়ালের মতো ল্যাজ গুটিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মরগ্যান বাহিনীকে। এমন নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ নাইট সমর্থকদের খুবই হতাশ করেছে। আরব দেশের আইপিএলে শেষ পর্যন্ত কিং খানের দল কোথায় শেষ করবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ বলছেন, এখনও চারটি ম্যাচ বাকি। ভুল শুধরে প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আবার কেউ কেউ আশা ছেড়েই দিয়েছেন।
কিন্তু এখনও সুযোগ রয়েছে। বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে জিততেই হবে নাইটদের। আর তিনটি জিততে পারলে প্লে-অফে জায়গা পাকা হয়ে যাবে। শনিবার কেকেআরের প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস। শক্তির নিরিখে দিল্লি এগিয়ে ঠিকই, তবে আইপিএলের মঞ্চে অনেক কিছু ঘটতে পারে। লোকেশ রাহুলের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত নাইটদের। পয়েন্ট তালিকায় প্রথম দু’টি স্থানাধিকারী দিল্লি ও মুম্বইকে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে হারিয়ে পাঞ্জাব কিন্তু প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে। তাই দিল্লিকেও না হারানোর কোনও কারণ নেই কলকাতার। তবে তার জন্য রণকৌশল বদলাতে হবে কোচ ম্যাকালামকে।
শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করছেন রাহুল ত্রিপাঠি। কিন্তু দু’জনের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া চোখে পড়ছে না। গিল শুরুটা ভালো করেও উইকেট ছুঁড়ে দিচ্ছেন। এই অভ্যাস তাঁকে ত্যাগ করতে হবে। রাহুল ত্রিপাঠিকে প্রয়োজনে মিডল অর্ডারে নামিয়ে আনা যেতে পারে। প্রশ্ন হল, তাহলে গিলের সঙ্গে কে ওপেন করবেন? এক্ষেত্রে টম ব্যান্টনের নাম ভাবা যেতে পারে। কিংবা ব্যান্টনকে বসিয়ে যদি সুনীল নারিনকে পরের ম্যাচে খেলানো হয়, তাহলে ফের তাঁকে দিয়েই ইনিংসের সূচনা করার ঝুঁকি নিতে পারে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও এই পরীক্ষা তারা আগে করেছে। কিন্তু সাফল্য আসেনি। তা সত্ত্বেও পাওয়ার প্লে’তে দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে নারিনের কোনও বিকল্প নেই কেকেআর শিবিরে। তিন নম্বরে নীতীশ রানা নির্ভরতা জোগাতে ব্যর্থ। তাই তাঁকে সরিয়ে ক্যাপ্টেন মরগ্যান তিনে নামতে পারেন। বড় স্কোর খাড়া করার জন্য দরকার ভালো পার্টনারশিপ। সেটা গিল-মরগ্যানের থেকে প্রত্যাশা করা যেতে পারে। মিডল অর্ডারে রিঙ্কু সিং কিংবা সিদ্ধেশ লাডকে খেলালে ক্ষতি কিছু হবে না।
ব্যাটিংয়ের চেয়ে কেকেআরের বোলিং খানিকটা ভালো। কিন্তু পুঁজি যদি ৮৪ রান হয়, তাহলে তো বোলারদের লড়াই করার কোনও সুযোগই থাকে না।