কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
তাহলে জাতীয় শিবির ছেড়ে সিন্ধুর লন্ডনে যাওয়া নিয়ে প্রচার মাধ্যমে তোলপাড় হচ্ছে কেন? আসলে সিন্ধুর বাবা ও প্রাক্তন জাতীয় ভলিবলার রামান্নার কথাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। গোপীচাঁদের দিকে অভিযোগের তির ছুঁড়ে রামান্না পরিষ্কার বলেছেন, ‘জাতীয় শিবিরে কোনও প্র্যাকটিসই হয় না। সিন্ধু দিনের পর দিন প্র্যাকটিস পার্টনার পায়নি। ফিটনেস ক্রমশই তলানির দিকে যাচ্ছিল ওর। তাই টোটাল ট্রেনিংয়ের জন্য সে লন্ডনে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ২০১৮ এশিয়াডের পর সিন্ধুর দিকে বেশি ফোকাস করত না গোপী।’ তারপরেই মিডিয়াতে প্রশ্ন উঠেছে, সিন্ধুর সঙ্গে গোপীর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের তাহলে ইতি ঘটতে চলেছে?
গোপীচাঁদ বলছেন, ‘সিন্ধু অন-কোর্ট ট্রেনিং করতে চেয়েছিল। সেই জন্য ভারতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থা ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে ওর জন্য ট্রেনিং সেন্টার ঠিক করে দেয়। সিন্ধু আমাকে বলে গিয়েছে, এটা একেবারেই তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। নভেম্বরে ফিরে এসে ও আমার কাছেই ট্রেনিং শুরু করবে। আমাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। সিন্ধুর বাবা কী বলছেন, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। ’
সিন্ধু এক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার ট্রেনিং সেন্টারে গিয়েছেন দশ সপ্তাহের জন্য। সেই সংস্থার তিনি ব্যবসায়িক দূত। লেস্টারে ডায়েট, কন্ডিশনিং ট্রেনিং করবেন তিনি। কোভিডের জন্য এখন কোনও টুর্নামেন্ট না থাকায় তিনি এই সময়কেই বেছে নিয়েছেন লন্ডনে যাওয়ার জন্য। সিন্ধুর একাধিক বন্ধু ইংল্যান্ডে রয়েছেন।
সিন্ধুর বক্তব্য, ‘অনেকে বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করে লন্ডনে গিয়েছি। কিন্তু বিদেশে ট্রেনিং নেওয়ার জন্য আমাকে সাহায্য করেছেন বাবা ও মা। প্রতিনিয়ত পরিবারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। গোপী স্যারের অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং করা নিয়েও আমার কোনও সমস্যা নেই। দেশে ফিরে ওঁর কাছেই ট্রেনিং করব।’