বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত রবিবার সানরাইজার্সকে সুপার ওভারে হারিয়ে এখন বেশ চনমনে নাইটরা। লকি ফার্গুসনের দুর্দান্ত বোলিং এবং প্রাক্তন ও বর্তমান অধিনায়কের (দীনেশ কার্তিক ও ইয়ন মরগ্যান) যুগলবন্দিতে কেকেআর শিবিরে যেন উৎসবের পরিবেশ। তবে সামান্য আত্মতুষ্টি উৎসবের ছন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন নাইটদের।
বোলিং অ্যাকশন বিতর্কে সুনীল নারিনকে ক্লিনচিট দিয়েছে আইপিএল কমিটি। তাই ক্যারিবিয়ান তারকাটির খেলতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, তিনি কার জায়গায় প্রথম একাদশে ঢুকবেন? একমাত্র আন্দ্রে রাসেলকে বসানো যেতে পারে। একেবারেই ফর্মে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডারটি। ৯টি ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৯২ রান। বল হাতে সাফল্য বলতে ৬টি উইকেট। কিন্তু সেই ঝুঁকি কি নেবে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট?
এই ম্যাচেও হয়তো শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন রাহুল ত্রিপাঠি। তিন নম্বরে নীতীশ রানা আরও একটি সুযোগ হয়তো পাবেন। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে বাকি ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করতে পারেন কোচ ম্যাকালাম। যদি দ্রুত রান তুলতে হয়, তাহলে রাসেল কিংবা মরগ্যান চার ও পাঁচ নম্বরে নামতে পারেন। সেক্ষেত্রে দীনেশ কার্তিক ব্যাট করবেন ছয়ে। রাসেল যদি আনফিট হন, তাহলে ক্রিস গ্রিন কিংবা নারিনকে পরিবর্ত হিসেবে ভাবতে পারে কেকেআর।
বোলিংয়ে প্যাট কামিন্স বড় মুখ। তবে পারফরম্যান্সে তিনি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। গত ম্যাচে লকি ফার্গুসনের সাফল্যে ঢাকা পড়েছিলেন প্রত্যেকেই। তবে কামিন্স অভিজ্ঞ। এই ধরনের ম্যাচে যা কাজে দিতে পারে। দ্বিতীয় স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে শিবম মাভি কিংবা নাগারকোটি খেলতে পারেন। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কুলদীপ যাদবের সঙ্গে খেলানো হয়েছিল স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকেও। দু’জনেই ভালো বল করেছিলেন। উইকেট যেহেতু ক্রমশ মন্থর হচ্ছে, সেকথা মাথায় রেখে দুই স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়ে মাঠে নামা উচিত মরগ্যান বাহিনীর।
এদিকে, ব্যর্থতার কানাগলি থেকে সাফল্যের রাজপথে ফেরার চেষ্টা করছেন বিরাট কোহলিরা। আইপিএল জিততে না পারার আক্ষেপ তাঁরা আরব দেশেই মেটাতে বদ্ধপরিকর। গত কয়েক বছরের তুলনায় আরসিবি’র খেলায় ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওপেনিং জুটিতে দেবদূত পাদিক্কাল ও অ্যারন ফিনচ খুব খারাপ শুরু করছেন না। ফর্ম ফিরে পেয়েছেন বিরাট কোহলিও। বড় মঞ্চের নায়ক তিনি। এই ম্যাচের গুরুত্ব কতখানি, সেটা বিলক্ষণ জানেন ভিকে। তাই ক্যাপ্টেন কোহলির ব্যাটে বড় রান আশা করছেন বেঙ্গালুরুর সমর্থকরা। প্রথম পর্বে নাইটদের যাবতীয় প্রতিরোধ এবি ডি’ভিলিয়ার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ে গিয়েছিল। সেকথা মাথায়া রেখে এবি’কে দ্রুত ফেরানোর পরিকল্পনা করতে হবে মরগ্যানদের।
ক্রিস মরিস যোগ দেওয়ার পর আরসিবি’র বোলিংয়ে ভারসাম্য বেড়েছে। এছাড়া ইসুরু উদানা ও নবদীন সাইনি গতিতে পরাস্ত করার চেষ্টা করছেন প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের। বিরাটের তুরুপের তাস স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। পাশাপাশি অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দরও ছন্দে আছেন। তাই ভালো লড়াই প্রত্যাশা করা যেতেই পারে।