কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রবিবার রাতের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে প্রথম ব্যাট করতে নামে পাঞ্জাব। কিন্তু যশপ্রীত বুমরাহর অনবদ্য বোলিংয়ে ৫ রানের বেশি তুলতে পারেননি লোকেশ রাহুলরা। কিন্তু সেই অতি সামান্য পুঁজি আগলে খেলা দ্বিতীয় সুপার ওভারে টেনে নিয়ে যান মহম্মদ সামি। বুমরাহর পাল্টা হিসেবে একের পর এক ইয়র্কারে রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি’কককে ৫ রানে আটকে দেন তিনি। ফলে খেলা গড়ায় দ্বিতীয় সুপার ওভারে। মুম্বইয়ের হয়ে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক পান্ডিয়া ও কিয়েরন পোলার্ড মিলে ১১ রান তোলেন। জবাবে পাঞ্জাবের দুই ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল ২ বল বাকি থাকতেই দলকে এনে দেন অতিনাটকীয় জয়। তবে জয়ের মূল কারিগর হিসেবে সামিকেই আলাদা করে বেছে নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। পাঞ্জাব অধিনায়ক জানিয়েছেন, চাপের মুখেও ঝাঁঝালো বোলিং করার দক্ষতাই ডানহাতি পেসারটির বড় গুণ। রাহুল বলেছেন, ‘সুপার ওভারের জন্য কোনও দলই তৈরি থাকে না। এক্ষেত্রে দলের প্রধান বোলারদের উপর ভরসা রাখতে হয়। সামির উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস ছিল। জানতাম, সামান্য পুঁজি সত্ত্বেও সে হাল ছাড়বে না। ওভারে ছয়টি ইয়র্কার দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল সামি। তাই ওর হাতে বল তুলে দিয়ে গিয়ে বিন্দুমাত্র ইতস্তত করিনি আমি। আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রেখে খেলা দ্বিতীয় সুপারে টেনে নিয়ে গিয়েছে সামি।’
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৭৭ রান করে ম্যাচের সেরা হন রাহুল। পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। কমলা টুপির দৌড়ে শীর্ষে রয়েছেন তিনি। ৯ ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে আপাতত ৫২৫ রান। যার মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ-সেঞ্চুরি। তবে ব্যক্তিগত দিক নিয়ে ভাবতে নারাজ রাহুল। বলেছেন, ‘সবচেয়ে মূল্যবান হল দুই পয়েন্ট অর্জন করা। এর বেশি কিছু চিন্তা করছি না। বেশ কয়েকটি ম্যাচে জেতার মত পরিস্থিতিতে থেকেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তা নাহলে আরও ভালো জায়গায় থাকত দল। তবে কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সবাই প্রচণ্ড পরিশ্রম করছে। সেই কারণেই জয়ের রাস্তায় ফেরা সম্ভব হয়েছে। এখান থেকে আমাদের বাকি সব ম্যাচ জিততেই হবে।’ দ্বিতীয় সুপার ওভারে ১১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান ক্রিস গেইল। এই প্রসঙ্গে ক্যারিবিয়ান তারকাটি বলেছেন, ‘ব্যাট করার সময় আমি একদমই নার্ভাস ছিলাম না। বরং প্রচণ্ড বিরক্ত লাগছিল নির্ধারিত ২০ ওভারের মধ্যে জয় নিশ্চিত করতে না পারার জন্য। কিন্তু এটাই হল ক্রিকেট। এই খেলায় আগে থেকে কোনও কিছুই অনুমান করা যায় না।’